রাত ২:২৯, মঙ্গলবার, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশেলেস সমাজ প্রতিষ্ঠা

আজকের সারাদেশ রিপোর্ট:

আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রায় ৫-৬ কোটি গ্রামবাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও জয়লাভ করতে পারে, তবে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আওতায় আনা হবে। এরপর ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠা সরকারের লক্ষ্য।”

রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফরম (আইডিটিপি) ‘বিনিময়’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপিত হয়েছে। সরকারের সেবা ডিজিটালাইজড হয়েছে। প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশে বৃহৎ আইটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এখন দেশেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সেট ও কম্পিউটার মেমোরি চিপস উৎপন্ন হচ্ছে। এগুলো রপ্তানি শুরু হতে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সুদক্ষ পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি, পেপারলেস অফিস ও দুর্নীতি মুক্ত সরকার ব্যবস্থা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে, মানুষের জীবনকে আরও আধুনিক এবং আর্থিক খাতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে চালু হয়েছে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’।

তিনি আরো বলেন, এই বিনিময় প্ল্যাটফর্মের পরিকল্পনা ও প্রকল্প নকশা সবকিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। ‘বিনিময়’ নামটা বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মেজবাউল হক বিনিময় প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, ওয়েবভিত্তিক এই প্লাটফর্ম ব্যাংকের বিভিন্ন অ্যাপস, মোবাইল আর্থিক সেবা ও পেমেন্ট সিস্টেম প্রোভাইডারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।এতে ভোক্তা, ব্যবসায়ী, পিএসপি, ই-ওয়ালেটস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসহ সব ধরনের আর্থিক লেনদেনকে ব্যয়-সাশ্রয়ী, সহজ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান, রেমিটেন্স পাঠানো, ট্যাক্স-ভ্যাট পরিশোধ, বিভিন্ন উপযোগী বিল পরিশোধ ও ইকমার্স লেনদেন করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিকাশ থেকে রকেটে টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে খরচ হবে ৫ টাকা। আর এমএফএস সেবা যেমন, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে খরচ হবে ১০ টাকা। অপরদিকে এমএফএস থেকে পেমেইন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিএসপি) অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতো খরচ হবে হাজারে ৫ টাকা।সোমবার হতে এই প্লাটফর্মে লেনদেন করা যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

কবিতা: স্বাধীনতা।

ভূমি, কার্গো দখল ও ঘর ভাংচুরের ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা

চবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ‘মুক্ত সংলাপ’ প্রত্যাখান শিক্ষার্থীদের, ষড়যন্ত্র না করতে দিল হুঁশিয়ারি

১৫ বছর পর মাতৃভূমিতে যুবদল নেতা হাসান নূরী

চবি উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক শামীম অথবা ড. আতিয়ারকে চান শিক্ষার্থীরা

ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার দায় নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন পলক

কোপা আমেরিকার সেরা একাদশে ৫ জনই আর্জেন্টিনার, ব্রাজিলের এক

গুলিবিদ্ধ কিশোরকে রিকশায় তুলতে গিয়ে দেখলেন নিজেরই সন্তান

নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে চবি কর্তৃপক্ষ

১২ দিন পর স্বল্প পরিসরে ট্রেন সার্ভিস চালু