আজকের সারাদেশ রিপোর্ট:
মানুষের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের জন্য দেহে পরিমিত পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু শীতকালে পানি পানের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। কারণ অন্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে মানুষের পানির তৃষ্ণা কম পায়। ফলে শীতে মানুষের দেহে পানির অভাব দেখা দেয়।
কিন্তু শীতকালে উল্টো বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন। কারণ শীতের সময় দেহে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে যাওয়াতে অনেকেই নানা সমস্যায় ভুগেন। এর মধ্যে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়া অন্যতম। সেই শুষ্কতা দূর করতে পানির পাশাপাশি আরও কয়েকটি পানীয় পান করা যেতে পারে।
স্যুপ:
শীতকালে মানুষ প্রায়ই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। একবার শুরু হলে আর যেন থামতেই না। আবার সর্দি-কাশির ফলে শরীরের আর্দ্রতাও কমতে থাকে। তাই শীতকালে সুস্থ থাকতে স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ সর্দি-কাশির সময়ে স্বস্তি দেয়। পালংশাক দিয়েও স্যুপ তৈরি করা যেতে পারে সহজে। শীতকালে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে স্যুপের ওপর নির্ভয়ে ভরসা করা যায়।
ভেষজ চা
শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষের আড্ডায় চা পানের অভ্যাস থাকে। আর শীতকালে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে ভেষজ চা পান। এ চা শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
তাই শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখতে মাঝেমধ্যেই ভেষজ চায়ে চুমুক দেওয়া যায়। আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এই চা পেশির ব্যথাও কমায়। একইসাথে অনিদ্রা দূর করে। আনে মানসিক প্রশান্তিও। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতেও ভেষজ চা খুবই কার্যকরী।
হলুদ দুধ
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ দুধ খাওয়ার অভ্যাস খুবই স্বাস্থ্যকর। এ দুধ পানে ভেতর থেকে উষ্ণ থাকে মানুষের শরীর। ঘুমও ভাল হয়। পুষ্টিকর খাদ্য দুধের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরে প্রদাহ দূর করে। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও হলুদ দুধ উপকারী।