আজকের সারাদেশ রিপোর্ট
বয়সের সেঞ্চুরি হতে আর বাকি মাত্র ৮ বছর। বেশিরভাগ মানুষই এমন বয়সে জীবনের শেষটা দেখে ফেলেন। ভেবে নেন সামনে যতদিন বাঁচবেন তাই ‘বোনাস’। কিন্তু এই বয়সেই জীবনের নতুন শুরুর স্বপ্নও যে কেউ দেখতে পারেন, সেটি রুপার্ট মারডকের দিকে তাকালে বোঝা যায়। ৯২ বছরেই যে এই মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। এবার মারডকের ঘর আলো করে আসছে-তাঁর পঞ্চম সন্ত্রী। ইতিমধ্যে বাগ্দান সেরে নিয়েছেন নব দম্পতি।
রুপার্টের কনের নাম অ্যান লেসলি স্মিথ। বয়স তারও কম নয়। গুনে গুনে ৬৬ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সাবেক পুলিশ চ্যাপলেইন (পুলিশের বিশেষ পরামর্শক)। অ্যানের সঙ্গে রুপার্টের প্রথম দেখা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই পরিচয়, পরে তা গড়ায় প্রণয়ে। এ বছরের গ্রীস্মে বিয়ে করার পরিকল্পপনা রয়েছে রুপার্ট–অ্যানের।
অ্যানের সঙ্গে প্রেম ও বাগ্দানের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রুপার্ট। বলেন, ‘প্রেমে পড়ার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে এটাই আমার শেষ প্রেম। এটা ভালো, আমি ভীষণ খুশি।’
রুপার্ট মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, অস্ট্রেলিয়ান বিমান সেবিকা প্যাট্রিসিয়া বুকারকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ওই বছরই স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মানকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের সংসার টিকে ছিল। এরপর চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেন রুপার্ট। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাঁরা সংসার করেন। এরপরই ওয়েন্ডির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মারডকের। ২০১৬ সালে লন্ডনে রুপার্ট বিয়ে করেন সাবেক সুপার মডেল জেরি হলকে। গত বছর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে। প্রথম তিনটি সংসারে ছয়জন সন্তান রয়েছে রুপার্টের। অন্যদিকে অ্যান লেসলি স্মিথের বিয়ে হয়েছিল ব্যবসায়ী, গায়ক ও টেলিভিশন নির্বাহী চেস্টার স্মিথের সঙ্গে। ১৪ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাই ছিলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকের অ্যান বলেন, ‘আমার আগের স্বামী এবং রুপার্ট—দুজনই ব্যবসায়ী। তাই আমি রুপার্টের মনের কথাগুলো সহজেই পড়তে পারি। আমাদের বিশ্বাসও একই।’
নিউজ করপোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান রুপার্ট মারডক। মাত্র ২২ বছর বয়সে সংবাদপত্রের ব্যবসায় নামের তিনি। বিশ্বের ৫টি দেশে ১২০টি পত্রিকার মালিক রুপার্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইংল্যান্ডের দ্য সান ও দ্য টাইমসের মালিকানা রয়েছে রুপার্টের।