আজকের সারাদেশ রিপোর্ট
প্রথমেই সাকিব আল হাসান গত এক সপ্তাহে কি কি করেছেন তার একটা হিসেব দেওয়া যাক। বিতর্কিত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের স্বর্নের দোকান উদ্বোধন করতে ১৪ মার্চ দুবাই যান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ১৫ মার্চ সেই দোকান উদ্বোধন শেষে ফেরেন পরদিন। আবার ওইদিন রাতেই ঢাকার আরেকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরদিন সকালে উড়াল দেন সিলেটে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে। সেদিন প্রথমদিনে দলের সঙ্গে অনুশীলনেও যোগ দেন। পরদিন নেমে পড়েন সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে।
সিরিজ শুরুর পরও শুধু ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা নয়, নানা প্রতিশ্রুতি রক্ষায়ও দৌড়তে হচ্ছে সাকিবকে। ১৮ মার্চ প্রথম ওয়ানডে শেষে ১৯ মার্চ ঢাকায় ফিরে যোগ দেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র (এআইইউবি) ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাকিব অর্জন করেন বিবিএ তে গ্র্যাজুয়েশন। এরপর সিলেটে ফিরে গতকাল খেলেছেন দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ আবার ঢাকায় সাকিব। ২৩ মার্চ পরবর্তী ওয়ানডের আগে ফাঁকা সময়টা কাজে লাগিয়ে সাকিব এবার বিমান বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি সম্পন্ন করেন। এই অনুষ্ঠানে কাছে পেয়েই উপস্থিত সাংবাদিকেরা সাকিবকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন কীভাবে সামলান এতো কিছু? হাসতে হাসতে সাকিব বললেন, ‘যে পারে সে সবই পারে।’ আসলেই তো। এত এত ভ্রমণের ধকল, মাঠে নামলে তার ছিটেফোটাও দেখা মিলেনা। বাইশগজে সেই দুর্দান্ত সাকিব রয়েই গেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে যেমন দুবাই-ঢাকা-সিলেট উড়ালের ধকলের পরও খেললেন ৮৯ বলে ৯৩ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস।
বিমানের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সাকিবকে ছোটবেলায় কখনো পাইলট হতে চেয়েছেন কিনা সেই প্রশ্নও শুনতে হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে ‘হ্যাঁ পাইলট ছোটবেলায় হতে চাইতাম। ডাক্তারও হতে চেয়েছি, ইঞ্জিনিয়ারও হতে চেয়েছি। আল্টিমেটলি ক্রিকেটে শেষ হয়েছে।’