আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি মানুষ পান করতে পারছেন না। কেননা প্রতি লিটার পানিতেই লবণাক্ততার পরিমাণ ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যযন্ত ছড়িয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেছেন, সমুদ্রের পানি হালদা নদীতে ঢুকে পড়ায় লবণাক্ততা বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বুধবার নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওয়াসার এমডি। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দ্য আরবান পুয়র ও চট্টগ্রাম ওয়াসা যৌথ আয়োজনে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন মানুষের অভ্যাসের কারণেই অনেক পানি অপচয় হয়। একদিকে মানুষ পানির অপচয় করেন। অন্যদিকে আবার পানির জন্য হাহাকার করেন। গ্যাস সংকটের মতো পানির সংকটও প্রকট আকার ধারণ করবে- সেদিন খুব বেশি দূরে নয়। সুপেয় পানির জোগান মূল্য দিন দিন বাড়ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসা মাত্র ১২-১৩ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করত। এখন তা ৫০ কোটি লিটারের উন্নতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। অতিথি ছিলেন দ্য কোকাকোলা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ফারাহ শারমিন আওলাদ।
সেমিনারে পানি ও স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে কি নোট প্রেসেন্টেশন উপস্থাপন করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল।