আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
প্রতিদিনের মতো স্টুডিওতে বসেছেন সাংবাদিক। চলছে সংবাদ পাঠ। ভূমিকম্পের খবর স্থানীয় ভাষায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন দর্শকদের। হঠাৎই কেঁপে উঠলো স্টুডিও। প্রথমে অল্প। ধীরে ধীরে বাড়ে ঝাঁকুনি। এ যেন এক অলৌকিক ঘটনা।
কিন্তু এতে সামান্যও বিচলিত হননি ওই সাংবাদিক। সংবাদ পড়ে গেছেন স্বাভাবিকভাবেই। ওই সময় ধীরে ধীরে কেঁপে ওঠে পুরো ভবন। সংবাদ পাঠকের পেছনে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। কাঁপতে থাকে ক্যামেরা। তবুও যেন অনড় সাংবাদিক, সংবাদ পাঠ করে গেছেন উপস্থাপক।
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও সাংবাদিকের এমন পেশাদারিত্ব নজর কেড়েছে সবার। ঘটনার সময়কার ধারন করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। আর ঘটনাটি পাকিস্তানের। মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্পের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
গণমাধ্যমটি বলছে, ভূমিকম্পের জেরে এতটাই ঝাঁকুনি হচ্ছিল যে, ওই সাংবাদিকের পেছন দিকের দেওয়ালে সমস্ত টিভিগুলি দুলছিল। ঠকঠক শব্দ করে কাঁপছিল টেবিল ও অন্যান্য আসবাব। এমনকি, ঝাঁকুনির জেরে যে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সাংবাদিক খবর পড়ছিলেন, সেই ক্যামেরাও বেঁকে যায়। যে কারণে একসময় সাংবাদিকের মুখ ভালো করে আর দেখা যাচ্ছিল না।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের মাঝে দাঁড়িয়েও কিন্তু এতটুকু বিচলিত দেখায়নি ওই সাংবাদিককে। তিনি নিজের মতো করে খবর পরিবেশন করে গিয়েছেন। ক্যামেরা সরে গেলেও তিনি থামেননি। এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের ওই ভূমিকম্পে আফাগানিস্তান ও পাকিস্তানে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানী হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৬। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ প্রদেশের শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। উৎসের গভীরতা মাটির ১৮০ কিলোমিটার গভীরে।