আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
রোজকার দিনের মতন ঘরদোর পরিষ্কার করছিলেন নারী। পরিষ্কারের এক পর্যায়ে বিছানার চাদর পাল্টানোর পালা। বিছানার কাছে যেতেই মনে হলো চাদরের নীচে কিছু একটা আছে। সেটি যেন নড়ে উঠলো। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করলে। একপাশ থেকে সামান্য একটু চাদর ওল্টাতেই কালো দড়ির মত কিছু একটা দেখলেন। সেটিকেও খুব একটা পাত্তা দিলেন না। পরে চাদর উল্টিয়েই তো ওই নারীর চোখ ছনাবড়া। চাদরের নীচে বিশাল সাপ। এক দুই ফুট নয়। ছয় ফুট লম্বা বিষধর সাপ। অমনি চাদর ফেলে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই নারী। দরজা বন্ধ করে খবর দেন সাপ উদ্ধারকারী সংস্থাকে।
ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড শহরে। সে শহরের সাপ উদ্ধারকারী সংস্থার মালিক জ্যাকারি রিচার্ডস সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমি যখন মহিলার বাড়িতে যাই, তখন দেখি তিনি দরজা বাইরে থেকে আটকে উঠোনে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখ বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তিনি জানান, ঘরের ভিতরে বিশাল একটি সাপ রয়েছে।”
এরপরই উদ্ধারকারী দল দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করেন। দেখেন তখনও বহাল তবিয়েতে সাপটি বিছানাতেই আয়েশ করে শুয়ে আছে। তাকিয়ে রয়েছে দরজার দিকে। এরপর উদ্ধাকারী দল কৌশলে সাপটি উদ্ধার করে। পরে জানা যায় সেটি বিষধর ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ।
উদ্ধারকারী দলের ধারণা, বাইরের প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে সাপটি ওই ঘরের বিছানায় আশ্রয় নিয়েছিল। তবে এই সাপের কামড়ে মানুষের স্নায়ু, হৃদ্যন্ত্র, ফুসফুস কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আক্রান্তের। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা