আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ভ্যানচালক ভাড়া চাইলেন অতিরিক্ত ৫ টাকা। দিতে আপত্তি যাত্রীদের। এ নিয়ে বিতন্ডা। পরে ভ্যানচালকের আঘাতে যাত্রীর মৃত্যু। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়। অবশ্য এ ঘটনায় ঘাতক ভ্যান চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ঘাতক মনিরুজ্জামান মিনটু মোচড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আর নিহত মোমরেজুল ইসলামও একই এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গেল রবিবার (১৯ মার্চ) রাতে ঘাতক মনিরুজ্জামানের ভ্যানের যাত্রী হন মোমরেজুলসহ চারজন। তারা আখড়াখোলা বাজার থেকে মোচড়া বাজারে আসেন। এসময় গন্তব্যে পৌছে ভ্যানচালক মনিরুজ্জামান অতিরিক্ত ৫ টাকা বেশি ভাড়া দাবী করেন। তার এ অন্যায় আবদার মেনে নিতে পারেন নি যাত্রীরা। এ নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি পরে মারামারিতে রুপ নেয়। মনিরুজ্জামানের উপর্যুপরি মারধরে গুরুতর আহত হন মোমরেজুল। পরে তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নাজমুল হোসেন রাশেদ বাদী হলে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই পলাতক হন মনিরুজ্জামান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভোরে নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের মিন্টুর খালাতো বোন বিউটি খাতুনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।