আজকের সারাদেশ প্রতিদিন:
২০৭ রানের চূড়ায় উঠেও বাংলাদেশের জন্য টেনশন ছিল বৃষ্টির কারণে। কেননা বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ডের যে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৮ ওভারে ১০৪ রান। টেনশনটা এখানেই। কারণ খেলাটা যতই ছোট হয়ে যায় ততই যে ভয়ংকর হয়ে উঠে। প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুলে সেই পথেই হাঁটছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু খেলা ঘুরে যায় এর পরেই। প্রথমে হাসান মাহমুদ, তারপর তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত দুই ওভার। সেখানেই কার্যাত শেষ আয়ারল্যান্ড। শেষমেশ ৮১ রানে থামে দলটি। ডিএলএস পদ্ধতিতে ২২ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর থেকে ৯ রান দূরে থাকতেই থামতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছিল সর্বোচ্চ ২১৫ রান।
এদিন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার মূলত বাংলাদেশকে ঝোড়ো শুরু এনে দেন। ২৩ বলে ৪৭ রান করে আউট হন লিটন। তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করে ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন রনি।
আয়ারল্যান্ডের শুরুটা অবশ্য বেশ ঝোড়োই হয়। প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুলে ফেলে তারা। তৃতীয় ওভারে রানে লাগাম দেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। প্রথম তিন বল ডট, চতুর্থ বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তুলে নেন রস এডেয়ারকে।
পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ আরও বিধ্বংসী। একে এক ৩ উইকেট তুলে নেন এই ওভারে। আয়ারল্যান্ড অবশ্য এরপরও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ৪ বল বাকি থাকতে থামতে হয় বাংলাদেশকে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে।