আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দুই নেতাকে দিয়ে পা মালিশ করার ছবি ভাইরাল হওয়ার রেশ এখনো কাটেনি। দেশজুড়ে সেই ছবি নিয়ে সমালোচনা চলছে এখনো। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল আবার আলোচনায়। এবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে একজনকে পাঠানো খুদে বার্তার একটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে। সেই স্ক্রিনশটে ‘হ্যালো বাবু’ লিখতে দেখা গেছে রুবেলের আইডি থেকে। বিপরীত দিক থেকে সাড়া না পাওয়ায় তিনবার ভিডিও কলও করেছেন তিনি। যদিও তাতে ‘মন গলেনি’ ওই প্রান্ত থেকে। কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি ওই প্রান্ত থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই স্ক্রিনশট। তাঁরা বলেছেন কোনো এক নারীকে এই এসএমএস পাঠিয়েছেন রেজাউল হক রুবেল। ক্ষুব্ধ সেই নারী রুবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে তাঁদের কাছে স্ক্রিনশট দিয়েছেন। অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন রুবেল।
ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের নারীঘটিত কেলেঙ্কারির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে এক নারীকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে উঠার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজে ধারন করা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের ফোন বা খুদে বার্তা পাঠিয়ে বিরক্ত করার অভিযোগও আছে এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। এবার স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ার পর সেই অভিযোগের সত্যতা যেন মিলল।
স্ক্রিনশটটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রথমে ভিডিও কল দেন রুবেল। সেই ভিডিও কল রিসিভ করেনি বিপরিত দিক থেকে। সাড়া না পেয়ে ইংরেজিতে সংক্ষেপে লেখেন-হ্যালো। এবারও সাড়া মেলেনি। এই কল ও এসএমএস কখন পাঠিয়েছেন সেটি স্ক্রিনশটে বোঝা যায়নি। অবশ্য রুবেলের পরের পদক্ষেপগুলোর তারিখ উল্লেখ ছিল স্ক্রিনশটে। এরপর জানুয়ারির ২৮ তারিখ (এই বছর কিনা নিশ্চিত না) বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে রুবেল সরাসরি লিখে বসেন-‘বাবু’। বিপরিত দিক থেকে এবারও পাত্তা দিল না। কিন্তু তাতেও দমে যাননি রুবেল। লেগে রইলেন। তাই তো একইদিন রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে আবার ‘বাবু’ লিখে পাঠালেন। কি মনে করে এরপররই দিলেন ভিডিও কলও। কিন্তু এবারও ফলাফল একই, কলটি ধরেনি ওই প্রান্ত থেকে। তবে ধৈর্য্য হারাননি রুবেল। ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৭ মিনিটে ‘হ্যালো’ লিখে পাঠান তিনি। যথারীতি কল না ধরায় এবার ভিডিও কল নয় অডিও কল দেন রুবেল। কিন্তু এবারও রুবেলের সঙ্গী হলো হতাশা! ফোন বেজে গেলেও ধরেননি ওই ‘নারী’!
তবে বিষয়টি নিজে করেছেন-তা মানতে রাজী নন রুবেল। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি। অবশ্য স্ক্রিনশটটি ছড়িয়ে পড়ার পর নিজের আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন রুবেল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার ছবি কিংবা আমার নাম ব্যবহার করে, অনেকগুলো আইডি খুলে, বিভিন্ন মানুষকে আজেবাজে মেসেজ দিচ্ছে। দয়া করে আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই আইডি ব্যাতিত আর কোনো আইডি নেই।’
যদিও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রেজাউল হক রুবেলের আরও একটির আইডির সন্ধান দিয়েছেন। ওই আইডিটি রুবেল নিজেই চালান বলে দাবি তাঁদের। তবে আজকের সারাদেশের পক্ষে সেই আইডিটি যাচাই করা যায়নি।