আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
নাব্যতা সংকট কারণে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালবোঝাই ৫টি কোস্টার জাহাজ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন সময় কয়লা ও ক্লিংকার (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই এমভি এসটিএস-১, এমভি আব্দুল কাদের, এমভি শেখ সূর্যত আলী, এমভি ল্যাবস-১ ও এমভি ওমাইর-৩ নামে জাহাজ আটকা পড়ে।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাবনার বেড়া থানার নগরবাড়ী-সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী নৌপথে পদ্মা ও যমুনার বুকে ছোট-বড় অনেক চর জেগে উঠেছে। পানি কমে ওই নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নৌ-চ্যানেলের কানাইদিয়া, মোল্লার চর ও লতিফপুর নামক এলাকায় নাব্যতা সংকট সবচেয়ে বেশি।
প্রয়োজনীয় পানির গভীরতা না থাকায় বর্তমানে সেখানে ১০ থেকে ১৩ ড্রাফটের মালবোঝাই কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালবোঝাই জাহাজ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে আটকা পড়ে থাকছে। ড্রাফট কমাতে ওই জাহাজগুলো থেকে মালামাল নামিয়ে বোলগেটে বোঝাই করা হচ্ছে।
সিরিয়াল মাস্টার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘নৌপথে নব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে মালবোঝাই জাহাজগুলো সরাসরি নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে যেতে পারছে না। সিরিয়াল অনুসারে দৌলতদিয়ায় আটকে পড়া জাহাজ থেকে মালামাল নামিয়ে আমরা সেগুলো বোলগেটে করে নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে পৌঁছে দিচ্ছি। এতে মালামাল পরিবহনে সংশ্লিষ্ট মালিক পক্ষের অতিরিক্ত টাকা গচ্চা যাচ্ছে।’
বিআইডাব্লিউটি-এর আরিচা অঞ্চলের বন্দর কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বর্তমান দৌলতদিয়া-নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌপথে ৭ থেকে ৮ ফুট ড্রাফটের বিভিন্ন নৌযান চলাচল করতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম ও মোংলা থেকে আসা মালবোঝাই ওই কোস্টার জাহাজগুলোর ড্রাফট অনেক বেশি। এ কারণে নৌপথের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে জাহাজগুলো আটকা পড়ছে। সেখানে কিছু মাল খালাস করে ড্রাফট কমানোর পর জাহাজগুলো নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে যাচ্ছে।