আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানকে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত, গত ১৩ বছরে দেশটিতে গেছেন ১ লাখ ৭ হাজার বাংলাদেশি পোশাক কর্মী যাদের ৯০ ভাগই নারী। যদিও করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় যদিও গত দুই বছরে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া অনেকটাই থেমে ছিল। সেই বদ্ধ দুয়ার আবার খুলছে। এই বছরের জুনের মধ্যে দেশটিতে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। এখন প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ জন কর্মী পাড়ি জমাচ্ছেন দেশটিতে।
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, পোশাক সংক্রান্ত কাজে দক্ষ কর্মীরা ৩ বছরের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পান। চলতি বছরের জুনের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী পাঠানো হবে। এর মধ্যেই ৬ হাজার কর্মী সেখানে চলে গেছেন।
শ্রমবাজার ধরে রাখতে সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো ও বিদেশে কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক কর্মীদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইন করা হয়েছে।
কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে যাওয়া এসব কর্মীর বাসস্থান ও খাবার খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।