আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষেপনাস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) এমভি বাংলার সমৃদ্ধ জাহাজটির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার আদায় হয়েছে। যা জাহাজটির বাজার মূল্যের সমপরিমাণ। গত ২১ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশন ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেছে সংস্থাটিকে।
গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিএসসির উপসচিব ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জাহাজটির হাল বীমাকারী রাষ্ট্রায়াত্ত বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনকে অবহিত করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটির পরিত্যক্ত করার ঘোষণার পাশাপাশি এবং পূর্ণনির্মাণ ব্যয় (Constructive Total Loss-CTL) দাবি করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি বীমা চুক্তির বিধি অনুযায়ী, এর ক্ষতিপূরণ মূল্য ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণের মাধ্যমে দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দাবিকৃত অর্থের মধ্য থেকে বীমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বিএসসিকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের অনভিয়া বন্দরে করে গমন করে। বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে অবস্থান করার সময় ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ, প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি সেখান থেকে বের হতে পারছিল না।
ওই বছরের ২ মার্চ ইউক্রেন স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজটি। এসময় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মো.
হাদিসুর রহমান মৃতবরণ করেন। হামলায় ব্রিজরুমসহ সকল নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তায় ওই বছরের ৯ মার্চ জাহাজের নাবিকদের এবং ১৪ মার্চ নিহত প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় বিএসসি। ওই বছরের ১৬ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত নাবিক ও তাদের পরিবারকে মোট ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
আজকের সারাদেশ/১ এপ্রিল,২৩/এসএম