আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে সাত দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রামের বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুনশি অডিটোরিয়ামে দুদক আয়োজিত সততা সংঘের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই তথ্য জানান ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন বলেন, ‘প্রদীপের মামলা চলমান। মামলার রায়ও হয়েছে। তাঁর সম্পদের নিশানা খোঁজার জন্য বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা দরকার। সাতটি দেশে আমরা পত্রালাপ করেছি। কিন্তু সেটা বেশি দিন হয়নি, মাত্র এক মাস হয়েছে।’
দুদক সব ধরনের এমনকি সাধারণ মানুষের অবৈধ উপার্জনের বিষয়ে তদন্ত করে থাকে বলে জানান মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেন, ‘দুদক নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করে না অথবা ছাড়ও দেয় না। দুদক সব ধরনের এমনকি সাধারণ মানুষের অবৈধ উপার্জনের বিষয়েও তদন্ত করে থাকে।’
দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্নীতি দমন না করলে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু কুমিল্লায় ক্যাডেটদের বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। তিনি জীবিত থাকলে বহু আগেই মধ্যম আয়ের দেশ হতাম আমরা।’
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. শহীদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদকের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব ও নৈতিকতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করা হয় এই সততা সংঘ। চট্টগ্রামে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সততা সংঘের কমিটি ও পাঁচ শিক্ষকের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। রয়েছেন একজন পরামর্শকও। এই সততা সংঘের উদ্যোগে রয়েছে বিক্রেতবিহীন সততা স্টোর। যেখানে শিক্ষার্থীরা পছন্দের পণ্যে কিনে নির্দিষ্ট দাম বক্সে রেখে যান।
আজকের সারাদেশ/ ২২ মে/ এসএম