আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
পরিবেশ আইন অমান্য করে ৬৪ শতাংশ জমির একটি পুকুর ভরাট করে ফেলেছিলেন দুই ব্যক্তি। সেখানে স্থাপনা তুলতেন হয়তো। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা মিলল না তাদের।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়ার পর গুনলেন ২ লাখ টাকার জরিমানা। এই শাস্তিতেও অবশ্য পার পাচ্ছেন না দুজন। সম্পূর্ণ ভরাট করে ফেলা পুকুরটি নিজেদের খরচে এখন ফিরিয়ে আনতে হবে আগের অবস্থায়। আবার কাজটি করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। এতদিন পর্যন্ত তারা থাকবেন নজরবন্দি।পুকুর আগের মতো পানিতে থই থই করার পরই মিলবে নিস্তার। আক্কেল সেলামি হয়তো একেই বলে।
বুধবার দুপুরে অন্য পুকুর ভরাটকারীদেরও বার্তা দেয়ার এই অভিযান পরিচালিত হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে সরেজমিন পরিদর্শন ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুড়িশ্চর মৌজার ১১৬৬৬ নম্বর দাগস্থিত ভূমির শ্রেণি পুকুর যা বাস্তবেও পুকুর হিসেবেই রয়েছে। ৬৪ শতক এই পুকুরটির অংশবিশেষ পরিদর্শনকালে ভরাট অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
পরে পুকুর ভরাটের একই এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও মুজিবুর রহমানের ছেলে জামশেদকে যথাক্রমে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও দু’জনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিজেদের খরচে ভরাটকৃত পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মুচলেকা নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও শাহিদুল আলম বলেন, ‘পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে পুকুর, নদী, জলাশয় ভরাট কিংবা পাহাড় কর্তনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে হাটহাজারীতে কোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে, পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সবার সচেতন হওয়া খুব জরুরি!’
অভিযানে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন ও স্থানীয় মানুষ সহযোগিতা করেন।
আজকের সারাদেশ /২৪মে /এসএম