সন্ধ্যা ৭:১৫, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায়ের আশা ভূমিমন্ত্রীর

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কার্যক্রম চলতে থাকলে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার খাজনা আদায়ের আশার কথা জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। 

তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ থেকে ম্যানুয়ালি জমির খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাজনা আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা। ২০২১-২২ আর্থ বছরে প্রায় ৬ শত ৪৯ কোটি টাকা। খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ার পর এক মাসে খাজনা আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোটি টাকা। আমরা যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আশা করছি বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায় করবো।

শনিবার (২৭ মে) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত ভূমি সেবা সপ্তাহের জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় এক সময় ইমেজ সংকটের মন্ত্রণালয় ছিল। আমাকে যখন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন আমিও খুব অস্বস্থিতে ছিলাম। অনেক পরিশ্রমের পর ভূমি মন্ত্রণালয়কে ইমেজ সংকটের জায়গা থেকে বের করে এনেছি। ভূমি উন্নয়ন কর, জমির নামজরিসহ সকল প্রকার ভূমিসেবা এখন অনলাইনে পাওয়া সম্ভব। এক কথায় ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়।’

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায্য দাবি আদায়ের স্বপ্ন দেখেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কালো রাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা এই হত্যার মধ্যদিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। আজকে আবার তাদের মুখেই গণতন্ত্রের কথা শুনছি। যে দলের জন্ম পিছনের দরজা দিয়ে, যাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নিয়ে দেশ শাসন করেছিল আজ তারাই বলছে গণতন্ত্রের কথা। জানিনা তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা কতটুকু মানায়। আজ স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর হতে চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী এবং আজ পর্যন্ত ব্যর্থতার পাশাপাশি আমাদের  সফলতাও আছে। তবে জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের এই রূপ অনেক আগেই দেখার কথা ছিল।

এসময় তিনি বিএনপির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সর্বশেষ শাসন আমলে দেশকে লুটের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল বিশে^র কাছে। তাদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরপর দুই বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিলেন। আমি জানিনা এ বাংলার জনগন কিভাবে উপকৃত হয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পেরেছে এখন তাদের ক্ষমতায় আসা কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দেশে আর একটা পদ্মা সেতু, টানেল কিংবা মেট্রোরেল তো হবে না। তারা জনগনকে কি বলবে?

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল প্রমূখ।

আজকের সারাদেশ/২৭মে/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি