আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
প্রতারণার শিকার হয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এক তরুণী দুবাই যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। এ সময়েই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন তার ছোট ভাই। সেই ফোন পেয়েই পুলিশ দ্রুত নেমে পড়েন ওই তরুণীকে উদ্ধারে। শেষে তাঁরা সফল হন। ওই তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ যেন মো. খলিলুর রহমানের (স্বপেন) “ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন” কবিতার সারাংশের প্রতিচ্ছবি ।
২৯ মে সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । ৩০ মে মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
আনোয়ার সাত্তার জানান, রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে এক কিশোর ফোন করে জানায়, তার ২৬ বছর বয়সী বড় বোন এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে দুবাই যাচ্ছেন পার্লারে কাজ করার জন্য।
কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ভিসাটি ভুয়া। কিন্তু ততক্ষণে প্রতারক চক্রের সঙ্গে তার বোন চলে গেছেন। বোনের কাছে ফোন নেই। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারক চক্র তার বোনকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা। কারণ, সেদিন রাত নয়টার ফ্লাইটে তার বোনের দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে। এমন তথ্য জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় ফোন করে বোনকে উদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কলটেকার কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। মিজান তাৎক্ষণিকভাবে এয়ারপোর্ট থানা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। ৯৯৯ ডিসপোজার এএসআই আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে খোঁজখবর নিতে থাকেন।
পরবর্তী সময়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান, তাঁরা তরুণী যাত্রীটির যাত্রা স্থগিত করে তাঁর ভাই ও স্বামীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারক চক্রের দুই দালালকে গ্রেপ্তার করে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল খালেক (৪৩) ও মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ / ৩১ মে ২৩ / একে