আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে না চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতুর সংস্কার কাজ। তাই বন্ধ হচ্ছেনা সেতুও।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা।
তিনি বলেন, ‘সেতু কবে বন্ধ হবে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সম্ভবত জুনের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু হবে। তাই জুনের মাঝামাঝিই সম্ভাব্য সময়।’
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে কালুরঘাট সেতু বন্ধ থাকবে বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে এখনো ফেরী চালু না হওয়ায় সেতু বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে বোয়ালখালী এলাকার মানুষ।
বোয়ালখালীর কদুরখীল এলাকার বাসিন্দা কামরুল হোসাইন বলেন, ‘ফেরী চালু না করে সেতু বন্ধ করে দেওয়ার কথা শুনে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। কারণ এখান থেকে অনেকেই শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনা করে, অনেকে সরাসরি এখান থেকে অফিস করে। তবে এখন জানলাম সেতু বন্ধের খবরটি মিথ্যা। ফেরী চালু করেই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হোক। নয়তো লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।’
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষের চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের প্রধান পথ এই কালুরঘাট সেতু। তাই সেতু বন্ধ হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে এই উপজেলার মানুষদের। সেতু সংস্কারের সময় বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীতে দুটি ফেরী চালুর কথা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ফেরী চালু হবে আরে এক মাসের মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘ফেরী চলাচল শুরু করতে আরো মাস খানেক সময় লাগবে আমাদের। আর এরমধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করলে তারা (রেলওয়ে) নিশ্চয় বিকল্প ব্যবস্থা করবে।’
এর আগে নগরীর সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জুন থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
১২ টন ওজন বহনে সক্ষম এই রেল সেতুটি ১৯৩১ সালে চালু করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে রেলের পাশাপাশি সড়কও চালু করা হয়। সড়ক চালুর পর থেকে একপাশ বন্ধ রেখে অন্যপাশের যানবাহন পারাপার করা হয়। ৯০ বছরের পুরনো সেতুটি বর্তমানে ১০ টন বহনে সক্ষম। ব্রীজের স্পেনগুলো পুরাতন হয়ে গেছে। পরামর্শক সংস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল ব্রীজটির স্পেন, পাটতনসহ সব অংশের চিত্র তুলে আনে। এতে দেখা গেছে, ব্রীজটির মূল ১৯ টি স্পেনের মধ্যে ৮টির অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলো অনেকটা ক্ষয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখতে সেতুটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
আজকের সারাদেশ/৩১মে/এএইচ