আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না বলে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামে অবস্থিত বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসাইন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম।
মামলার এজহারে বলা হয়, সম্প্রতি বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলানো সালাউদ্দিন কাদেরকে নিরপরাধ দাবি করেন। ওই বক্তব্যের ৪৪ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ড. রফিকুল হায়দারকে বলতে শোনা যায়, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলো না। ভালো মানুষ ছিল। তার এলাকায় যাও, খবর নাও। তার একটাই দোষ হাসিনাকে আঘাত করেছে সংসদে দাঁড়িয়ে।’
মামলা দায়েরের বিষয়ে পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমার বাড়ি বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের পাশে। আমি বিষয়টি দুটি পত্রিকায় দেখেছি কয়েকদিন আগে। পরে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ৪৪ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড পাই। ওই কল রেকর্ডে তাকে স্পষ্ট বলতে শোনা গেছে কথাটা। ওনি সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন না। সাকা যে যুদ্ধাপরাধী এটা আদালত দ্বারা স্বীকৃত বিষয়, তাই আমি এগিয়ে এসে মামলা করেছি।’
তবে বক্তব্যের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেছেন বন গবেষণাগার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার। তিনি বলেন, ‘আমি আমার অফিসের দুর্নীতিগ্রস্থ কয়কজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তারা এটি ছড়িয়েছে। সালাউদ্দিন কাদের স্বীকৃত যুদ্ধপরাধী, এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
‘তাছাড়া তারা আমার বিরুদ্ধে আরো অনেক মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, সবকিছু তদন্ত হয়েছে। এমনকি এটাও একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে সম্ভবত।’
আজকের সারাদেশ/০১জুন/এএইচ