আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামে মাইলেজ জঠিলতা নিরসনসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সমাবেশ থেকে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে কর্মচারীদের দাবী মেনে নেওয়া না হলে পরদিন (১৪ জুন) থেকে নিয়মানুযায়ী ৮ ঘন্টার বেশি কাজ না করার ঘোষণা দেন তারা।
রোববার বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ও রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মো. রোকনউদ্দিন এই মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন।
শ্রমিকদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আগামী ১৩ জুন ২০২৩ইং এর মধ্যে রানিং স্টাফদের ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে মেনশন ও আনুতোষিক নিষ্পত্তি করা, আইবাস++ পদ্ধতিতে রানিং স্টাফদের বেতন-ভাতা প্রদান, নিয়োগ বিধি-২০২০ সংশোধন করে যোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ বন্ধ করা।
সমাবেশে মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১৩ জুনের মধ্যে মাইলেজ জঠিলতা সম্পর্কিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাহার আদেশ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় দপ্তরে প্রেরণ এবং পেশকৃত দাবীসমূহ সুরাহা করতে হবে। অন্যথা আগামী ১৪ জুন থেকে রানিং স্টাফরা নিয়মানুযায়ী পরিপূর্ণ বিশ্রাম ছাড়া অতিরিক্ত কোন ডিউটি করবে না। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত স্বীয় পদের বাইরে কোন কাজ করবে না। সবাই কেবল নিয়মতান্ত্রিক ৮ ঘন্টা ডিউটি করবে।’
রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মো. রোকনউদ্দিন বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনামল থেকে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীরা মাইলেজ পান। মাইলেজ মানে রেলওয়ের লোকবল কম থাকায় শ্রমিকরা অতিরিক্ত ডিউটি করেন। এই অতিরিক্ত ডিউটির জন্য তারা বেতনের সাথে আলাদা অর্থ পেয়ে থাকেন। কিন্তু ২ তিন বছর আগে হঠাৎ মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে আমাদের আন্দোলনের মুখে এই সিদ্বান্ত থেকে ফিরে আসে তারা। কিন্তু পরে মাইলেজ দেওয়ার কথা বললেও রিটায়ার্ডের পর ৭৫% মাইলেজ যোগে আনুতোষিক ও পেনশনের বিষয়ে অর্থ বিভাগের আপত্তির কথা জানানো হয়।’
তিনি জানান, আন্দোলনের মুখে প্রায় এক বছর আগে বিষয়টি সুরহার কথা বলা হয় মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু বিষয়টি এখনো সেভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা।
মো. রোকনউদ্দিন বলেন, ‘আসলে পাকিস্তানি দূসর এখনো সব জায়গায় রয়ে গেছে। আমার ধারণা এখানে কতিপয় ব্যক্তি আমাদের মাধ্যমে সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়। তারা জানে বিসয়টি সুরহা না হলে আমরা আন্দোলন করব। আন্দোলন করলে রেল বন্ধ থাকবে। সরকার বেকাদায় পড়বে। কিন্তু না, আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। ১৩ জুনের মধ্যে মাইলেজ জঠিলতার বিষয়টি সুরহা না হলে আমরা অন্যান্য সরকারি শ্রমিকদের মত ৮ ঘন্টা ডিউটি করব। এর বেমশি করবনা ব্যাস। আমরা কাজ করলে মজুরী কেন পাবনা?’
এসময় রেলওয়ের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের সারাদেশ/০৪জুন/এএইচ