আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা খাইবার পাখতুম এলাকায় শনিবার প্রবল বর্ষণ, বজ্রবৃষ্টি ও ভারী বাতাসের কারণে দেয়াল ধস, গাছ ও তোরণ উপড়ে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৪০ জন। ওই অঞ্চলের অনেক এলাকা শনিবার থেকে এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
রোববার পাকিস্তানি গণমাধ্যমের ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তুপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও ভারী বাতাসের কারণে দেয়াল ধস, গাছ ও তোরণ উপড়ে লক্কি, কারাক ও বান্নু এলাকায় অন্তত ৬৯ টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব এলাকায় পুনরায় প্রবল বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।
বান্নু বিভাগীয় কমিশনার পারুয়াইজ সাবাতখেল ১৭ জনের মৃত্যু ও ১০২ জন আহতের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। আহতের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর। পারুয়াইজ সাবাতখেল বলেন, ‘বান্নুতে ১২ জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও লক্কি মাওরাতে ৪ জন নিহত ও ৭৩ জন আহত হয়েছেন।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ শনিবার ঝড়ের কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তিনি কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে আরব সাগর থেকে পাকিস্তানের দিকে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইতিমধ্যে জেলেদের সাগরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ‘বিপর্জয়’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিচু এলাকায় বন্য ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
গত বছর পাকিস্তানে অতিবৃষ্টির কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে সময় ৬৪৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
আজকের সারাদেশ/১১জুন/এএইচ