রাত ৮:৫২, বুধবার, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার মামলায় আমির খসরুর বিচার শুরু

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এক সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে আদেশের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়েরের কথা জানিয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া।

সোমবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলায় আমির খসরুর সাথে কুমিল্লার সাবেক ছাত্রদল নেতা ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীকেও আসামি করা হয়।

অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, মূল মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে এটা ‘তথ্যগত ভুল’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। মূল মামলায় অভিযোগ ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এখন মূল মামলাটাই যদি মিথ্যা হয়, ওনি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহ করলেন কেমনে? আমরা এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করব, মামলাটি টিকবে না।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মাঝামাঝি সময়ে আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর একটি ফোনকলের কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ এনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।

ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠান আদালত। একমাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি৷ এই মামলায় আমির খসরুর পাশাপাশি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিলহানুর রহমান নাওমীকেও আসামি করা হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠান আদালত। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন নগর পুলিশের উপপরিদর্শক সঞ্জয় গুহ।

পুলিশের প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযোগের সত্যত্য পাওয়া না যাওয়ায় তথ্যগত ভুল উল্লেখ করা হয়। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্রে টেলিফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

আদেশের সময় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলহানুর রহমান নাওমী আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া।

আজকের সারাদেশ/১২ জুন/এএইচ/এসএম

সর্বশেষ সংবাদ

সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন আজীবন চিকিৎসা ভাতা

বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত