আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক স্টেনোগ্রাফারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গালাগালের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে আরেক কর্মচারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো নিরব চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার।
অভিযুক্ত স্টেনোগ্রাফারের নাম মো. নাছির উদ্দিন। দায়িত্বরত অবস্থায় দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ অন্তত পাঁচবার দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী প্রোগ্রামার আবুল হাসনাত রাজু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অভিযুক্ত নাছির রাজুকে দেখলেই ‘মুক্তিযুদ্ধা’ শব্দটিকে অশ্লীলভাবে বিকৃত উচ্চারণে বিদ্রুপ করেন (তিনি রাজুকে মুক্তিচোদার সন্তান বলে বিদ্রুপ করেন)। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকার চেয়েও পাননি তিনি। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩১ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরকারি মাধ্যমিক -২ এর উপসচিব মোর্শেদা আকতার স্বাক্ষরিত চিঠিতে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণপর নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো বিষয়টি তদন্ত বা অভিযুক্ত নাছিরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এই বিষয়ে ভুক্তভুগী আবুল হাসনাত রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে আর এগুতে চাননা বলে জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে গালাগাল ও বিদ্রুপ করায় অভিযুক্ত নাছিরকে অবিলম্বে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ। তিন বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের মতো জায়গায় তার চাকরি করার যোগ্যতা নেই। তাকে অবিলম্বে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি আমি।’
মুক্তিযুদ্ধাকে গালাগালের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত নাছির। তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমার মনে নেই। আমি নিজেঢি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ, এরকম হলে তো আমিই এটা মেনে নেব না।’
দুই সপ্তাহেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে একাধিকবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
আজকের সারাদেশ/১৩জুন/এএইচ