আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার শুনে ঘটনার সময় উপস্থিত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গাধাও হাসছে- এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু। জামালখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত দেয়ালচিত্র ভাংচুরকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এই মন্তব্য করেন এক সময়ের তুখোড় এই ছাত্রনেতা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে রোববার বিকেলে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরশেদুল আলম বাচ্চু আরও বলেন,বিএনপির মিছিল থেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত দেয়ালচিত্র ভাংচুর করছে সেটি বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারন করা আছে। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করছে। আর বিএনপি সংবাক সম্মেলন করে চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে কিনা মিথ্যাচার করে তামাশা করছে। তাদের নেতাদের বালকসুলভ কথাবার্তায় মনে হচ্ছে বিএনপি ধুয়াতুলসী পাতা।’
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত দেয়ালচিত্র ভাংচুর করার উদ্দেশ্যে কি জানতে চান
আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখলে বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের গাত্রদাহ হয়। সেজন্যই মনে ভাঙচুর চালিয়েছে। বিএনপি উচিত ছিল হামলাকারীদের পক্ষে না নিয়ে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করা। কিন্তু তা না করে সাংবাদিকদের ডেকে চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে তামাশা করছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি -চিহ্ন মুছে ফেলতে ভাংচুর করেছে। এর মাধ্যমে তারা পুরো বাঙালি জাতির হ্নদয়ে আঘাত করে হ্নদয় ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীদের প্রতিরোধে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন আরশেদুল আলম বাচ্চু। তিনি বলেন, আমরা চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সৈনিক হিসাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপির নির্দেশনায় প্রতিরোধে মাঠে আছি। ভাঙচুরকারীদের আর রক্ষা নেই। কেননা তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত।
চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা ওসমানগনি আলমগীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন হাবিবুর রহমান তারেক, ইলিয়াস উদ্দীন,সাহেদুল আলম, শওকত আলম, জাকারিয়া দস্তগীর, বেসরকারি কারাপরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত কচি, শাহিন জোবায়ের বাপ্পী, খোরশেদ আলম মানিক, মাহমুদুর রশীদ বাবু, মাহমুদুল্লাহ বাবু, আশফাক হোসেন খান, সজিব মির্জা, সৈয়দ আনিসুল রহমান, সরফুর আনাম জুয়েল, তোফায়েল আহমেদ মামুন, জাহেদ হোসেন, কামরুল ইসলাম রাসেল, হাসান আলী, মাসুদ হোসেন, সাইফুদ্দীন সান্টু, ইরফানুল হক, ইমরান হোসেন, মো: মোরশেদ, আব্দুলহ সাইম্ন, আনসারুল্লাহ সৌরভ, ইমাম উদ্দীন নয়ন, মো: সালাউদ্দিন, সুলতাম মাহমুদ ফয়সাল, আরজু ইসলাম বাবু, জাবেদ হোসেন জিকু, আজিম উদ্দিন তালুকদার, তরিকুল ইসলাম তানিম, ওয়াহিদুল আলম, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রবিউল ইসলাম খুকু, শাহাদাত হোসেন হীরা, মাহফুজ হোসেন, মুজিবুর রহমান,আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল, মো সাহেদ,তন্ময় দাস আব্দুল আল আহাদ, আবু সাইদ মুন্না,আওরাজ ভূইয়া রনক, সোহেল তালুকদার,সালাউদ্দিন কাদের আরজু,হাসান রুমেল,তৌহিদুল ইসলাম সুমন,মো জিয়া,সাইফুল ইসলাম রাহাত,মো সাকিব ইউসুফ আলী বিপ্লব, জাবেূ রহিম মুন, ওমরগনি, মো: বাদশা, মিনহাজুল ইসলাম, রোটন দে লাল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে আরশেদুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্ব একটি মিছিল জামালখানের ঘটনাস্থল প্রদক্ষিণ করে চেরাগী পাহাড় গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
আজকের সারাদেশ/১৮জুন/এইচটি/এএইচ
