রাত ৪:০৯, বুধবার, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইন না মেনে বিভাগীয় প্রধান, অবিচার দাবি করে অধ্যাপকের চিঠি

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান পদে অধ্যাপকদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপককে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টিকে আইনের পরিপন্থি দাবি করে বিভাগীয় পদ পেতে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগটির অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। রেজিস্ট্রারের দাবি, প্রশাসন চাইলে এমন আদেশ দিতে পারে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ সূত্রে জানা যায়, ‘বিভাগীয় অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বৎসর মেয়াদে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হইবেন’। এ আইন অনুযায়ী বিভাগে কোনো অধ্যাপক না থাকায় ২০২০ সালের ১৭ জুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে। ওই পদে জুলহাস মিয়ার তিন বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১৫ জুন তাঁকে আবারও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে।

বিষয়টিকে আইনের ব্যত্যয় উল্লেখ করে করে অধ্যাপক তাহের তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিভাগে অধ্যাপক কর্মরত থাকা অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা সুস্পষ্টভাবে আইন-এর লঙ্ঘন। ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া গত ১৬ জুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তাঁর মেয়াদপূর্ণ করেছেন এবং বর্তমানে বিভাগে দুইজন অধ্যাপক কর্মরত আছেন।

অধ্যাপক তাহের বলেন, ‘বিভাগের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন অনুযায়ী আমি ১৭ জুন থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রাপ্য হই। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে বিভাগীয় প্রধানের পুনঃদায়িত্ব প্রদান করায় সুস্পষ্টভাবেই আইনের ব্যত্যয় হয়েছে এবং আমার ওপরও অবিচার করা হয়েছে।’

এ নিয়োগে অধ্যাপক তাহেরের মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের শিকার হয়েছেন দাবি করে তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে সমুন্নত রাখার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

এদিকে নিয়োগের বিষয়ে ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, প্রশাসন আমাকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে বলেছে। আইনের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ওনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। শুধু পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিভাগে অধ্যাপক থাকার পরও একজন সহযোগী অধ্যাপককে কেন দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হলো- এমন প্রশ্নে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ চাইলে এভাবে কন্টিনিউ করার জন্য বলতেই পারে।’

আজকের সারাদেশ/১৯জুন/এসএম

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা