আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপটা নিজেদের করে নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আবেগ, রোমাঞ্চ ও উত্তেজনায় ভরপুর ফাইনালে ফরাসিদের টাইব্রেকারে হারিয়ে অধরা সোনালি ট্রফি উঁচু করে ধরেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। এদিকে ফুটবল বিশ্বের সকল ট্রফিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী লা পুলগা। তবে তার অধরা ছিল সোনালি সেই বিশ্বকাপ শিরোপাটি। কাতার বিশ্বকাপে তার সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে। এবার দুর্দান্ত লিওনেল মেসি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছেন এবং তার ভিতরের গল্প নিয়ে একটি মিনি ডকুমেন্টারি বানিয়েছে ক্রীড়া সরঞ্জামাদি তৈরি করা প্রতিষ্টান অ্যাডিডাস।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল রোববার (১৮ জুন)। সেই উপলক্ষে ‘হাই ইন দ্য স্কাই’ শিরোনামের সেই ডকুমেন্টারিতে মেসির পাশাপাশি কথা বলেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, পাওলো দিবালা, ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল।
ডকুমেন্টারিতে মেসি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক সম্মানের। এটা এমন কিছু যা আমি অনেক যত্নের সঙ্গে করেছি। যদিও আমাকে অনেক খারাপ সময়ও অতিক্রম করতে হয়েছে। এমনকি আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশের হয়ে আর খেলব না। আমার মনে বেশ শঙ্কা কাজ করছিল। অবশ্য, সিদ্ধান্ত বদলানোতে আমি ভীষণ খুশি।’
সিদ্ধান্ত বদলে ফিরে এসেছিলেন মেসি। যেন ছাঁইয়ের গাদা থেকে ফিনিক্স পাখির পুনর্জন্ম হয়েছিল। ফিরে এসে যে পেয়েছেন আরাধ্য বিশ্বকাপ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মেসি বললেন, ‘জাতীয় দলে ফিরে আসা এবং সবকিছু জেতা, এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কখনও হার না মানার মানসিকতা রাখা।’
এই বিশ্বাস আর নিজের সামর্থ্যে ভর দিয়ে মেসি নেতা হয়ে উঠেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন এক দলকে, যারা তার জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছে। তারা জানত, ক্ষুদে জাদুকরের পায়ের জাদু এবার বিফলে যাবে না। তাদের বিশ্বাস রেখেছেন মেসি। সেই বিশ্বাস আর সামর্থ্যের ডানায় চেপেই তো আকাশে উড়ছে আলবিসেলেস্তেরা।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাতার ফাইনালে লা আলবিসেলেস্তেরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে পরাজিত করে। শিরোপা নির্ধারনের ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে যেখানে যেখানে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ট্রফি নিজেদের করে নেয় লিওনেল মেসির দল। প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খাওয়া আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের আক্ষেপ মোচন করেন লিওনেল মেসি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কাঁধে। পারফর্ম করে মেসি হন টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার। অনিন্দ্য পারফর্ম করেন মেসি সতীর্থ মার্টিনেজও। তার হাতেই উঠে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
আজকের সারাদেশ / ১৯ জুন ২৩/ একে