কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না মেনে চার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ (কামাল-আমান নেতৃত্বাধীন)। সোমবার (১৯ জুন) বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমান মাহবুব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ অনুযায়ী, ‘বিভাগীয় অধ্যাপকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বৎসর মেয়াদে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেবেন উপাচার্য।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগে এ আইন অমান্য করে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ১৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের দুইটি অফিস আদেশ বঙ্গবন্ধু পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইতিপূর্বে আরো দুইটি বিভাগে (বাংলা ও ইংরেজি) অনুরূপভাবে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ধারা ২৪ (২) এর সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। বিভাগে অধ্যাপক কর্মরত থাকা অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া কিংবা অধ্যাপকদের মধ্য থেকেও জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ন করে কাউকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া সম্পূর্ণরূপে আইন বহির্ভূত ও প্রচলিত নিয়মের ব্যত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অতীতে কখনও আইনের ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আইন লঙ্গন করে যে সকল অফিস আদেশ প্রদান করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ধারা সমুন্নত রাখার আহবান জানানো হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, “এটা মোটেও ঠিক হয়নি, এ ধরনের নির্দেশনা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্ত:সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়”।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
আজকের সারাদেশ/২০জুন/জেআর/এএইচ