নাজমুল আবেদিন ফাহিম
অভাবনীয় একটি ক্রিকেট ম্যচের সমাপ্তি হল। ২২৮ রানে অষ্টম উইকেটের পতনের পর ইংল্যান্ডের জয় মোটামুটি নিশ্চিতই মনে হচ্ছিল। নামি দামি সব ব্যাটারই ইতোমধ্যে ফিরে গেছে ড্রেসিংরুমে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া আবার মনে করিয়ে দিল সেই কথা টা ,”cricket is a glorious game of uncertainty”.
যাই হোক, ইংল্যান্ডের এই one dimensional অতি আক্রমনাত্মক strategy সমালোচিত হবে এটিই স্বাভাবিক। তাদের হিসেব টা খুব সোজা, dominate করবো এবং জিতব। পরাজয়ের ব্যপারটি হয়তো ওদের ভাবনাতেই নেই। Second line of defence বলে কিছু নেই, at least দেখে মনে হয়নি তেমন কিছু আছে। শুদ্ধ্য ক্রিকেটের অনুসারিদের পক্ষে এটি মেনে নেয়া সত্যি কঠিন।
কিন্তু যে ব্যপারটি আমাদের অগোচরেই থেকে যাচ্ছে তা হচ্ছে ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের বদলে যাওয়া মানসিকতা। এই দল বিশ্বাস করে যে অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিরদ্ধে reactive হওয়ার চাইতে proactive হওয়াই শ্রেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই আঘাত হানা। ব্যপারটি মোটেই সহজ নয় এবং যে কোন দলের জন্য প্রযোজ্যও নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রতিটি খেলোয়াড়ের অত্যন্ত উঁচু মানের শারীরিক, মানসিক এবং কৌশলগত সক্ষমতা এবং এই সব কিছুর সমন্বয়ে একটি দল তৈরী করা যেই দল ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না।
এবং ঘটেছেও তাই, ইংলান্ড ভেঙেছে কিন্তু মচকায়নি। আমর ধারনা পরবর্তি টেস্টেও আমরা একই ইংল্যান্ড কে দেখতে পাবো। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
লেখক: নাজমুল আবেদিন ফাহিম
প্রখ্যাত ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক
আজকের সারাদেশ/২১জুন/এসএম