রাত ১১:০২, শুক্রবার, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তি এড়াতে অনলাইন সেবা চায় কুবি শিক্ষার্থীরা

জুবায়ের রহমান, কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র ও সনদ তুলতে আবেদন ফি, স্বাক্ষর, ফরম তুলা সহ বিভিন্ন কাজে ঘুরতে হয় আটটি দপ্তর। এছাড়াও ভর্তি কার্যক্রম, পরীক্ষার ফি জমা দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজেও ঘুরতে হয় দপ্তর থেকে দপ্তর। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এসব ভোগান্তি কমাতে এবার অনলাইনে সেবা চায় শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সনদ উত্তোলনের জন্য প্রথমে জনতা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সনদ উত্তোলন ফরম পূরণ করে যেতে হয় বিভাগে। সেখানে টাকা জমার রসিদ দেখিয়ে বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর নিয়ে যেতে হয় অর্থ ও হিসাব দপ্তরে। এভাবে একে একে যেতে হয় আইসিটি দপ্তর, প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার দপ্তর, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে। এসব কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে না পেয়ে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ অপেক্ষা কখনও দিন পেরিয়ে সপ্তাহও অতিক্রম করে। সনদ তুলতে এসে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।

এদিকে পরীক্ষার আবেদন ও ভর্তি কার্যক্রমেও টাকা জমাদান, প্রাধক্ষ্যের স্বাক্ষর নিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা দপ্তর শাখায় অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র ও সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন করতে গিয়ে এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাদের।

লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আফজাল হোসাইন বলেন, ‘সনদ উত্তোলন করতে গিয়ে একের পর এক দপ্তরে ঘুরতে হয় শিক্ষার্থীদের। প্রায় সময় আবার স্বাক্ষরের জন্য কর্তা ব্যক্তিদের কার্যালয়ে পাওয়া যায় না। এতে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অথচ পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে নিয়ে আসলে খুব সহজেই কাজ হয়ে যায়।’

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবুদ দারদাহ রুমী বলেন, ‘সনদ উত্তোলন, সে তো আরেক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রায়ই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরের জন্য গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে এসেও বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সনাতন পদ্ধতি থেকে বের হতে পারেনি। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুল্লাহ খাঁন বলেন, ‘পরীক্ষার আগে ফরম ফিল আপ এবং টাকা জমাদান একটি জটিল প্রক্রিয়া। টাকা জমাদানের জন্য ফরম আনতে হয় তিনতলা থেকে। অনেক লেখালেখি করে সেই ফরম পূরণ করার পর টাকা জমা দিতে দাঁড়াতে হয় লাইনে। তারপরে আবার পরীক্ষার আবেদন করার জন্য যেতে হয় ডিপার্টমেন্টে। সেখান থেকে যেতে হয় আবাসিক হলে। প্রাধ্যক্ষ তখন পেলে সরাসরি ডিপার্টমেন্টে জমা দেওয়া যায়, অন্যথা হয় অপেক্ষা না হয় শিক্ষকের পেছন পেছন ঘুরাঘুরি। অথচ অনলাইনে এই সেবাগুলো চালু করে রাখলে আমাদের এত ভোগান্তি পোহাতে হয় না।’

এদিকে সনদ প্রদানের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরাও হতাশ। এটা নিয়ে আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একটি নতুন সফটওয়্যারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। সনদ উত্তোলনের বিষয়টি সে সফটওয়্যারে সংযুক্ত করার জন্য প্রস্তাব দেব।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা সফটওয়্যারের কাজ শেষ করব। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব ধরনের সনদ এবং পরীক্ষা সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আজকের সারাদেশ/২১জুন/জএইচ/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা