আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
আর্জেন্টিনার রোজারিওর ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে এসে বিশ্বশাসন! দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সারা পৃথিবীকে নিজের ফুটবলশৈলী দিয়ে বিমোহিত করে যাওয়া। চর্মগোলক দিয়ে হৃদয়ের সব তৃষ্ণা মেটানো লিওকে নিয়ে তো সাধারণ ভক্তকূল অভিভূতই, তাঁরই খেলার জগতের বিখ্যাতজনেরাও কি কম? মেসিকে নিয়ে ম্যারাডোনা-পেলেদের সেই মন্তব্যগুলো তাহলে আরেকবার দেখা যাক জন্মদিনের প্রাক্কালে।
ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘আমার জায়গাটা নেবে ওই৷ আর্জেন্টিনার সেরা ফুটবলার হতে পারে’।
পেলে বলেছেন, ‘মেসিকে কোনোদিন খারাপ খেলতে দেখিনি৷ বছরের পর বছর ধরে একটা লেভেলে খেলে যাচ্ছে’।
রোনালদো বলেছেন ‘মেসি আমাকে আরও ভালো খেলোয়াড় এবং পরিণত করেছে।’
পেপ গার্দিওয়ালা বলেছেন, ‘মেসি নিয়ে লিখবেন না৷ ব্যাখা না করে দেখে যান৷ সিস্টেম বা কোচ ওকে থামাতে পারে না৷’
রাইকার্ড বলেছেন, ‘মেসির গোলগুলো হলো একেবারে শিল্প কলা’।
এনরিকে বলেছেন, ‘মেসি মানে ফুটবলের ইতিহাস’।
ক্রুয়েফ বলেছেন, ‘অন্য ক্লাস৷ দশে দশ পাবে৷ পাঁচ, ছয়, সাতটা ব্যালন ডি‘ওর নিয়ে যাবে’।
বেকেনবাওয়ার বলেছেন, ‘মেসি হল ঈশ্বরের মতো। ওর সব কিছু আছে’।
তোস্তাও বলেছেন, ‘মেসি বাস্তব-অবাস্তব ফুটবল মেশায়। ম্যারাডোনার থেকে ভালো’।
ব্রাজিলিয়ান রোনালদো বলেছেন, ‘মেসিকে অনেক বেশি কমপ্লিট মনে হয়। অনেক তীক্ষ্ণ’।
ফিগো বলেছেন, ‘মেসিকে দেখা মানে অর্গাজমের পরের অবিশ্বাস্য তৃপ্তি’।
জাবি বলেছেন, ‘মেসি অন্যদের থেকে কত এগিয়ে যারা বোঝে না, তাঁরা অন্ধ’।
ইনিয়েস্তা বলেছেন, ‘মেসি যা পারে, অন্যরা পারে না। বার্সেলোনা আর কোনওদিন আর একটা মেসি পাবে না’।
রোনালদিনহো বলেছেন, ‘আমি একবার বিশ্বসেরা হয়েছিলাম। কিন্তু তখন বার্সাতেই সেরা ফুটবলার ছিলাম না।’
তেবেজ বলেছেন, ‘মেসিকে যারা ভালোবাসে না, তারা ফুটবল বোঝে না’।
অঁরি বলেছেন, ‘মেসিকে দেখলে সতর্ক থাকতে হয়, যাতে এক মুহূর্ত মিস না করি’।
ইব্রাহিমোভিচ বলেছেন, ‘মেসির বাঁ পাই যথেষ্ট৷ ডান পায়ের দরকার নেই’।
খুলিত বলেছেন, ‘ওকে দেখতে পাচ্ছি বলে আমরা ভাগ্যবান’।
রুমেনিগে বলেছেন, ‘উনিশ বছরে এত সুন্দর কেউ ছিল না৷ পেলেও না, মারাদোনাও না’।
রোমারিও বলেছেন, ‘নিউটন-আইনস্টাইনের মতো প্রতিদিন নিজেকে ছাপিয়ে যায়’।
হাজি বলেছেন, ‘এত বিনীত আর ভদ্র৷ মাঠে একেবারে আগুন’।
স্তোইচকভ বলেছেন, ‘মেসিকে থামাতে গেলে দরকার মেশিনগান’।
লিনেকার বলেছেন, ‘ও এমন ফুটবল খেলে, যা দেখে আমরা অভ্যস্ত নই’।
বেকহ্যাম বলেছেন, ‘মেসির ধারেকাছে আর কেউ নেই’।
ভালদানো বলেছেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর প্রথম জিনিয়াস হল মেসি’।
ভেরন বলেছেন, ‘মেসি বল ধরে গতি বাড়ালে প্রতিবার মনে হয় ম্যারাডোনা।’
ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘ম্যারাডোনাকে দেখে বড় হয়েছি৷ মেসি কিন্তু অন্য লেভেলে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের।
ফার্গুসন বলেছেন, ‘মেসি পুরোনো দিনেও পেলে, ম্যারাডোনা, ক্রুয়েফের সঙ্গে খেলতে পারত’
স্কোলারি বলেছেন, ‘রোনালদোর জীবনে সবচেয়ে খারাপ দিক মেসি। নইলে টানা পাঁচবার রোনালদোই বিশ্বসেরা হত’।
বিলার্দো বলেছেন, ‘অ্যানাটমির কোনও তত্ত্বই মানে না মেসি’।
কাপেলো বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো ইংরেজি জানে। মেসি জানে ফুটবল’।
ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘প্লে স্টেশনের মতো। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে’।
তাতা মার্তিনো বলেছেন, ‘টিভিতে বসে যে পাস দেখা যায়, মাঠে যায় না, সে সব মেসি করে’।
আর্দিলেস বলেছেন, ‘এই গ্রহের বাইরের ফুটবলার৷ ওকে ব্যাখ্যা করা যায় না৷’
রামোস বলেছেন, ‘প্রথম দিন থেকে প্রতি ম্যাচে চমকে দিয়ে যায় আমাকে’।
আলবেস বলেছেন, ‘আমি সেবিয়ায় খেলার সময় খুব জ্বালাত। ভাগ্যিস আমায় আর ওর বিরুদ্ধে খেলতে হয় না৷’
ফালকাও বলেছেন, ‘মেসি কি সত্যিই ফুটবলার না, প্লে স্টেশন ক্যারেকটার?’
রাউল বলেছেন, ‘জিদান, রোনালদোর সঙ্গে খেলেও বলছি, মেসি আলাদা। পূর্ণ গতিতেও বল আঠা হয়ে লেগে থাকে’।
রুনি বলেছেন, ‘মেসি একটা রসিকতা৷ আমার কাছে সর্বকালের সেরা’।
আজকের সারাদেশ/২৪জুন/এসএম