আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
জনগেনের কাছে না গিয়ে বিএনপি এখন বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে তারা এখনো পরাধীনতায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দিচ্ছে।’
শনিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের নানা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করে। তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশের অর্থনীতিকে আজ শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে এক উদীয়মান শক্তি। দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনো মেনে নিতে পারে না। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ।’
কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়াকে সরকার আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। বরং জননেত্রী শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল। অথচ তারা কৃতঘ্নতার পরিচয় দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ। বিএনপির শাসনামলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বিদেশে পাচারকৃত জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যাদের জন্ম এবং বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এটাই সত্যি। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে।’
আজকের সারাদেশ/২৪জুন/এএইচ