রাত ১১:৩৮, শুক্রবার, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানির ঈদ ঘিরে মৌসুমি পণ্যের কদর

হাবীব আরাফাত, চট্টগ্রাম

একদিন পরেই ঈদুল আজহা। মুসলিমদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় উৎসব এই ঈদ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এইদিন পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস কাটাকুটির জন্য প্রয়োজন হয় নানা জিনিসপত্রের। এরমধ্যে অন্যতম হলো গাছের গুড়ি বা খটিয়া। বিশেষ কয়েকটি গাছের গোড়ার দিকের ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি উচ্চতার গোলাকার এই টুকরোগুলো অঞ্চলভেদে খাইট্টা, কাইটে, শপার ও হাইজ্যা নামেও পরিচিত। এর বাইরে মাংস কাটাকুটির কাজে বাঁশ ও প্লাস্টিকের তৈরি লাই -ঝুড়ি বা খাড়েং, বাঁশের তৈরি মাদুর এবং খড়েরও প্রচুর ব্যবহার হয়। তাই কোরবানির ঈদকে ঘিরে অনেকেই এসব পণ্য নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায় নামেন।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে আতুরার ডিপু, দেওয়ান হাট, চকবাজার, বহাদ্দারহাট, নিউমার্কেট, কাটগর, বাকলিয়া, আগ্রাবদ সহ বেশ কিছু এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব মৌসুমি পণ্য। পণ্যগুলোর মধ্যে খটিয়া তৈরি হয় বিশেষ কিছু গাছ দিয়ে। সবচেয়ে বেশি খটিয়া হয় তেতুল গাছ দিয়ে। তেতুল গাছের খটিয়া বিক্রি হয় দেড়শ থেকে তিনশ টাকায়। এর বাইরে কাঠাল গাছ ও গোদা গাছ দিয়েও তৈরি হয় এই মৌসুমি পণ্য। তবে গোদা গাছ তুলনামূলক বেশি শক্ত হওয়ায় এই গাছের খটিয়া দামও তুলনামূলক বেশি। চট্টগ্রামে গোদা গাছের খটিয়া হচ্ছে এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। তবে এ ধরণের খটিয়া সাধারণত কসাইরাই কিনে থাকেন।

কুরবানির মাংস কাটাকুটির আরেকটি অত্যাবর্শকীয় পণ্যের নাম বাঁশের তৈরি মাদুর। এই মাদুরে পশু জবাইয়ের পর এই মাদুরেই মাংস রাখা হয়। চট্টগ্রামের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এসব মাদুর বিক্রি করছেন আঁকার ভেদে দুইশ থেকে এক হাজার টাকায়। কোরবানির পশুকে খাওয়ানো ও মাদুরের নিচে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় খড়ের। নগরে দুই থেকে চার কেজি ওজনের প্রতি আঁটি খড় বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এর বাইরে জবাই করা পশুর মাংস বাহির থেকে বাসায় নিতে প্রয়োজন হয় লাই বা খাড়ংয়ের। বাঁশ ও প্লাস্টিকের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায়।

নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার এসব পণ্যের মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. রাজু বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকানর করাতকল মালিকদের কাছ থেকে খটিয়া সংগ্রহ করি। এবার আমরা ৫০০ টি খটিয়া এনেছি, এরমধ্যে দুইশতাধিক বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা পাইকারিতে একশ থেকে আড়াইশ টাকায় এসব খটিয়া সংগ্রহ করি। তাছাড়া আমাদের পরিবহণ খরচও আছে। এসব খটিয়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করি। এর বাইরে বাঁশের তৈরি পণ্যগুলো অগ্রীম অর্ডার করে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

নির্দিষ্ট কয়েকটি গাছ দিয়ে খটিয়া তৈরির কারণ হিসেবে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. শফিউল আলম বলেন, ‘সাধারণত শক্ত গাছ দিয়ে এসব খটিয়া তৈরি হয়। কারণ পশুর মাংস হাড় গাছ তুলনামূলক নরম হলে দা বা ধামার আঘাতে গাছের গুড়ি লেগে মাংস নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু তেতুল, কাঠাল বা গোদা গাছ তুলনামূলক শক্ত। দা বা ধামার কোপে এসব গাছের গুড়ি উঠে না, তাই মাংস পরিষ্কার থাকে।’

নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় গাছের খটিয়া, লাই ও খড় কিনতে আসা আশকারাবাদ এলাকার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘এসব পণ্য প্রতি কোরবানির ঈদে কিনতে হয়। কিন্তু খটিয়া দুই বছর অন্তর কিনি। একটা দিয়ে দুই বছর চলে যায়। তবে খড়, লাই, মাদুর এসব প্রতিবছর কিনতে হয়।’

আজকের সারাদেশ/২৭জুন/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা