কুবি প্রতিনিধি:
আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে থাকেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক থাকার পরও এক সহযোগী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ লঙ্ঘন হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এ ঘটনায় অসন্তোষ জানিয়েছেন পদ বঞ্চিত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আবু তাহের। বিষয়টিকে আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন ও মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে রোববার (৯ জুলাই) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং প্রচলিত নিয়ম সুরক্ষা করার দাবি জানানো হয়। এর আগে একই ইস্যুতে গত ১৮ জুন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছিলেন পদ বঞ্চিত শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ জুন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পদার্থবিজ্ঞান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-২০০৬ এর ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিভাগীয় অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বছর মেয়াদে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই জেষ্ঠ্যতা অনুসারে বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কথা ছিল অধ্যাপক ড. মো. তাহেরের।
পদ ফেরত চেয়ে চিঠিতে অধ্যাপক তাহের বলেন, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে বিভাগীয় প্রধানের পুনরায় দায়িত্ব প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রচলিত নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটেছে, যা ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ বছরের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এতে আমার মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি সামাজিকভাবে ও হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি বর্তমানে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত আছি। দায়িত্ব পেলে সততা ও নিষ্ঠার সহিত আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
আজকের সারাদেশ/১০জুলাই/এসএম