দুপুর ১২:৪০, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা: ওবায়দুল কাদের

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

রোববার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যারা জনগণকে শত্রু মনে করে, তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না। বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে। বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিলেন তারা। বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসা নীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন তারা বলছেন- ‘কোন দেশের ভিসা নীতিতে কি আছে, না আছে, দেখতে চাই না।’ আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছেন। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এদিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে তাকে কারাবন্দী করে। সেদিন শুধু জননেত্রীকেই অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগসহ নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্রতর করেছে। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায় তেমন দেশের জনগণ, সংবিধান ও আইন- আদালতকে ভয় পায়।

বিএনপি নেতারা বলছেন- ‘দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে!’ আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন ইতোমধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায় কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।

আজকের সারাদেশ/১৬জুলাই/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি