সকাল ৬:৪৮, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে: প্রধানমন্ত্রী

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ওপর জনগনের আস্থা ও ভসরা আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যে কোনো সেনাবাহিনীর জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আজ আমি বলতে পারি, আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে।’

প্রধানমন্ত্রী শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের আস্থা ও ভরসা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে তা অর্জন করেছে।’

 ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। তারা সব সময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।’

দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে। সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন, আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী।’

এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৩’-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত।’

‘এ ছাড়া অফিসারদের কমান্ড দেয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে কি না- সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।’

পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করার জন্য নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘মাঠের কাজে তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়ার এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার ক্ষমতা বিবেচনা করুন। আমরা চাই নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে) কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বশর্ত।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনাবাহিনী যে কোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে।’

এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাবাহিনী প্রধান।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন।

আজকের সারাদেশ/২২জুলাই/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি