সকাল ৯:০২, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুবি শিক্ষকের মৃত্যু:  ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থী মানববন্ধন

কুবি প্রতিনিধি:

হৃদ্‌রোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজার মৃত্যুও ঘটনায় বাড়ির মালিক ও চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ জুলাই) সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ছয় দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে সামনে মানববন্ধন করেন। এসময় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন সাড়া না পেয়ে প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান করেন। পরে উপ উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়। পরে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে বসে ছয় দফা দাবিতে রেজিস্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃত্যু যখন চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা যায় সেটা কখনো মেনে নেওয়ার না। আমাদের শিক্ষক যেদিন মারা গেছেন সেদিন আমাদের অন্যান্য শিক্ষকরা কেন তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেল। যেখানে চিকিৎসার ন্যূনতম সেবা নেই। এমনকি কোনো ধরনের গাইডলাইনই শিক্ষকরা দিতে পারেনি। এভাবে একজন শিক্ষক না ফেরার চলে গেল অথচ তিন দিনেও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।

তারা আরও দাবি করেন, বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তারদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারল না। তাহলে আমাদের মেডিক্যালের দরকার কি। শুধু নাপা, স্যালাইন, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া আর কিছু নেই এখানে। আমরা এখানকার ডাক্তারদের অপসারণ চাই এবং একটি আধুনিক মেডিকেল সেন্টারের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ছয় দফার দাবিগুলো হল বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অবহেলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তারদের অপসারণ, একলিমুর রেজার নামে সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ডাক্তার নিয়োগ, একলিমুর রেজার প্রাপ্য আর্থিক প্রণোদনা এক মাসের মধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান।

আন্দোলনের সমন্বায়ক ইমরুল হাসান বলেন, রেজা স্যারের মৃত্যুর সময় চিকিৎসকদের অবহেলা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের অসহযোগিতাসহ যে-সব অন্যায় করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজকে আন্দোলন করি আমরা। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি তারাও আশস্ত করেছেন ব্যবস্থা গ্রহণের। যদি আমাদের দাবি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

এদিকে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গাফিলিতি ছিল না দাবি করে মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাকে যখন প্রক্টর স্যার কল দেয়, তখন আমি ট্রমা হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলাম। তখন আমি আমার সহকর্মীকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ম্যানেজ করেছি, পরামর্শ দিয়েছি। আমরা দায়িত্বে কোনো ধরনের অবহেলা করি নাই।

ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি হাতে পেয়েছে, এখন আমি কিছু বলতে পারতেছি না। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যা সিদ্ধান্ত আসে তা জানাবো।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা যে সব দাবি উত্থাপন করেছে তাদের সাথে আমি একমত পোষণ করছি। মঙ্গলবার উপাচার্য মহোদয় আসলে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি