রাত ১:১৭, শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরো সাতকানিয়া ডুবে গেছে: ইউএনও

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা। এরমধ্যে জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। পানিবন্দী রয়েছে তিন উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতকানিয়া উপজেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলছেনা যানবাহন। গতকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ভেঙে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল নেটওয়ার্কও।

হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতিতে হিমসিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাই। পানির স্রোত থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছেনা ইঞ্জিনবিহীন নৌকা।

এখন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন এলাকার বহুতল স্কুল ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার তুলনামূলক উঁচু এলাকা উপজেলা পরিষদ ও কেরানিহাটে কোমর পানি হওয়ায় পুরো সাতকানিয়া পানিতে ডুবে গেছে বলে ধারণা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ‘আমার অফিসের সামনে এক কোমর পানি, কেরানিহাটেও পানি অনেক। এগুলো ডুবেগেছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে পুরো সাতকানিয়া ডুবে গেছে। গতকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই, মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ। সড়ক যোগাযোগ তো বন্ধই। তাই সমন্বয় করা যাচ্ছে না। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকার কথা বলেছি, ওটা পেলে অন্তত নিজে মুভ করতে পারব, সবকিছু সমন্বয়ের চেষ্টা করতে পারব।’

গতকাল রাত পর্যন্ত দেড় হাজার পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধসের কারণে জানতে পারেননি ইউএনও৷ তিনি বলেন, ‘আজ যেহেতু যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সর্বশেষ পরিসংখ্যান আমরা জানি না৷ তবে স্কুলগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, উপজেলা পরিষদে ৭( জনের মত আশ্রয় নিয়েছে।’

সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নানা কারনে উপজেলার বাইরে বসবাসকারীরা বাড়িতে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়ার ফজিলাতুন্নেছা চৌধুরী বৃষ্টি পড়াশোনার জন্য চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই, বাড়িতে পানি ঢুকেছে বলেছিল। আমার বাবা আর ভাই আছে সেখানে, কিন্তু এখন আর কোনো যোগাযোগ করে পারছিনা।’

উপজেলার কাঞ্চনা এলাকার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক আজম বলেন, ‘আমি চাকরীর জন্য শহরে থাকি। কিন্তু বাড়ির পাশে ডলু ও শঙ্খ নাদী ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকেছে। গতকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই, মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। কোনোভাবেই বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারতেছি না।’

সাতকানিয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলা চন্দনাইশ ও লোহাগাড়াও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে ছোট ও মাঝারি যান চলতে পারছে না। পাঠানিপুল এলাকায় পানি বেশি, কিছু গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে৷ একটা একটা গাড়ি পার হচ্ছে। এলাকার নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।’

এএইচ/এসএম

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা