আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দেশে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধ্যান পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে এই সংগঠনের ১০ জনকে আটকের পর এই তথ্য জানিয়েছে সিটিটিসি প্রধান প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
অভিযান শেষে শনিবার সকালে পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আটককৃত ১০ জনের বাড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাদের সাথে তিন শিশুও রয়েছে।’
আটককৃতরা হলেন সাতক্ষীরার ৪০ বছর বয়সী শরীফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের ২৫ বছর বয়সী হাফিজ উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের ২২ বছর বয়সী খায়রুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের ২২ বছর বয়সী রাফিউল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের ১৭ বছর বয়সী মেঘনা, পাবনার ২২ বছর বয়সী শাপলা বেগম, নাটোরের ২০ বছর বয়সী মাইশা ইসলাম, বগুড়ার ১৮ বছর বয়সী সানজিদা খাতুন, সাতক্ষীরার ৪০ বছর বয়সী আমিনা বেগম ও ২০ বছর বয়সী হাবিবা বিনতে শফিকুল।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপকসংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিচ্ছে। সেসব লোকজন হিজরতের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন।
‘শুরুতে আমাদের কাছে তথ্য ছিল মৌলভীবাজারের যেকোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি তৈরি করেছে। গতকাল আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই। ঢাকায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, যিনি এ জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘বিনা বলপ্রয়োগে সিটিটিসি তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের হেফাজতে নেয়ার পরে আমরা জঙ্গি আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেটর উদ্ধার করি, যা দিয়ে গ্রেনেডসহ হাই এক্সপ্লোসিভ তৈরি করা হয়।
‘জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। এ ছাড়া শিশুও ছিল।’
৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী, কমব্যাট বুট, বক্সিন ব্যাগ ও কয়েক বস্তা উগ্রবাদী বই জব্দের কথাও জানান সিটিটিসির প্রধান।
তার ভাষ্য, “এটি একটি নতুন সংগঠন। এর নাম ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’। এ সংগঠনের যে মূল ব্যক্তি, তার নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি, তার পর্যন্ত পৌঁছাতে আমরা সক্ষম হব।”
আজকের সারাদেশ/১২আগস্ট/এএইচ