আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই বিপাকে রয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতারা। দলটির নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাদণ্ডের পর এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
শনিবার ইসলামাবাদে নিজ বাসা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ।
সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ছিল- পিটিআইয়ের এমন অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে নেয় দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)।
নিজ বাসা থেকে কুরেশির গ্রেপ্তারের বিষয়টি পিটিআইয়ের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। এক টুইট পোস্টে দলটি বলেছে, ‘আবারও অবৈধভাবে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের মধ্যে বিভক্তির খবর অস্বীকার করেন কুরেশি। এ ছাড়া দেশটিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পেছাতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এর পরপরই পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ এ নেতাকে গ্রেপ্তার হন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এ বিষয়ে পিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ওমর আইয়ুব বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার পর বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে (কুরেশি) হেফাজতে নেয় পুলিশ।’
কুরেশিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম ফ্যাসিবাদী সরকারের মেয়াদ শেষ হলে দেশে বেআইনি রাজত্বের অবসান ঘটবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের পূর্বসূরি ফ্যাসিবাদী সরকারের রেকর্ড ভাঙতে চায়।’
গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ করেন পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় সহিংসতা ও উসকানির অভিযোগে ১১ মে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি গ্রেপ্তার হন। পরে ৬ জুন লাহোর হাইকোর্টের রাওয়ালপিন্ডি বেঞ্চের নির্দেশে তাকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। রায়ে সেদিন পিটিআই চেয়ারম্যানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি জরিমানা করে আদালত। আদালতের রায়ের পর থেকে তিনি তাকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দি।
আজকের সারাদেশ/২০আগস্ট/এএইচ