আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর করা হল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। অর্থাৎ অতীতে সব অপরাধকে ক্ষমা করে দিতে। এরপর জিয়াউর রহমান এসে এই অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করলেন। একজন রাষ্ট্র প্রধান ও তার পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হল। অথচ এর বিচার যেন না হয়, সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করা হল। কোন সভ্য দেশে এমন আইন হতে পারে না।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে নাঙ্গলকোট বঙ্গবন্ধু পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজন শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। চট্টগ্রাম নগরীর পাঠানতুলীর অক্সফোর্ড মডার্ণ কমার্স কলেজ প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং অক্সফোর্ড মডার্ণ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চবির মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন ও আলোচক ছিলেন জলবায়ু বিষয়ক সাংবাদিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সামছুদ্দিন ইলিয়াস।
বক্তারা বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে খুনীদের নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু খুব বেশিদিন তা টেকেনি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার হত্যার বিচার হয়। ইতিহাসকে বদলে দেওয়া যায় না। সত্য সবসময় সত্য।
বক্তারা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পূর্ববতী সময়ের মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তারা বলেন, তখনও যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিরোধী অবস্থান ছিল। ১৫ আগস্টের কালো রাতে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সারা রাত খোলা ছিল। বিদেশি শক্তি তৎপর। এখনও সে রকমই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মাস্টার এসোসিয়েশনের আহবায়ক জাফরুল্লাহ মজুমদার, নাঙ্গলকোট বঙ্গবন্ধু পরিষদ চট্টগ্রামের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জামশেদ আলম, নাঙ্গলকোট বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুল হক নান্নু, নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, নাঙ্গলকোট আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এম জে রহমান ভূইয়া গোলাপ, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মিজানুর রহমান খোকন, সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রামের আকবার শাহ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সুমন, সদরঘাট থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ আকবর হোসেন রাজন, অক্সফোড মডার্ণ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নুরুল আমিন।
আজকের সারাদেশ/২০আগস্ট/এসএম