আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
সব ভুলে একসঙ্গে থাকার খবরের রেশ না ফুরাতেই খবর এলো মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি রাজ-পরী। দুজনের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তানের জন্মদিন পর্যন্ত ঘটছে একের পর এক ঘটনা। এবার এরমধ্রে এসব নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকাই সিনেমার আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জা।
কিন্তু শুক্রবারই গুরুতর জখম হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এদিন মধ্যরাত থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শরিফুল রাজের রক্তাক্ত মাথার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে রাজধানীর ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মেলে পরীমনির। কিন্তু পরে জানা যায় তিনি জ্বর না আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে একই সময় ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকাই সিনেমার আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জা।
কীভাবে মাথায় আঘাত লাগল এ নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ। তবে গুঞ্জন ওঠে এই মাথা ফাটার নেপথ্যে রয়েছে পরীমনি।
আরও গুঞ্জন ওঠে নির্মাতা রায়হান রাফীর অফিসে ঝগড়া হয় তাদের। একসময় তা ভয়ানক মারামারিতে রূপ নেয়। এতে রক্তাক্ত হন রাজ। পরীমনি হন অসুস্থ। অন্যদিকে তাদের এই ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হন তমা মির্জা। তবে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তমা।
ঘটনার বিস্তারিত এক সংবাদমাধ্যমকে তমা জানান, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন ১৮ আগস্ট রাত ১০টায়। ভর্তির কারণ, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা।
তমা বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে_ কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি।
দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদব, সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। ফলে আমার বক্তব্য স্পষ্ট— রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না।
ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এর পর পরী বলল, ‘ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসব। এর মধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।’
কিন্তু ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ তমার হাত ধরে পরীমনি একই হাসপাতালে চেকইন দিয়েছেন। সেটিতে কি সন্দেহের যোগসূত্র প্রমাণ করে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তমা বলেন, ‘বলছি সেটাও। তো ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে যাই। ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। তো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে উঠাল, বলল পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইল চেয়ারে। সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ বেশ কজন আমার কেবিনে। পরী বলল, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এর পর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।’
কিন্তু তাতেও তো রাজ-পরীর ‘রক্তারক্তি’র কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সে জন্যই তমার ওই সংবাদমাধ্যম আরেকবার জানতে চায়, রাজ-পরীর কাঙ্ক্ষিত মিলনের ২৪ ঘণ্টার মাথায় কেন রক্তারক্তি হলো?
এই প্রশ্নের জবাবে এবার খানিকটা ইশারায় কথা বলেন তমা। তার ভাষায়, ‘প্রথমত পরী আমাকে এ বিষয়ে কিছুই শেয়ার করেনি। হতে পারে আমার শরীর খুবই খারাপ, তাই। হতে পারে, বলার মতো কিছুই ঘটেনি।
তবে আমি পরীকে যতটুকু এখন দেখছি, সে তার রাজ্য ছাড়া পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে নেই। না শুটিং, না মডেলিং, না আড্ডা। তার পুরো দুনিয়াটাই এখন রাজ্য। ওর সুখটাই পরীর সুখ।
আজকের সারাদেশ/২০আগস্ট/এএইচ