আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বলাৎকারের ভিডিও করায় আশরাফুল নামের এক যুবক কক্সবাজারের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফ উদ্দিনকে খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম। এর আগে সোমবার রাতে জেলার হোয়াইক্যং থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে অভিযুক্ত আশরাফুলের পরিচয় হয়। এরপর থেকে সাইফের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এ সম্পর্কের সুবাধে আশরাফুলকে ধর্ষণ করে আসছিলেন সাইফ উদ্দিন।
গত রোবাবর বিকেলেও কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ান তারা। এরপর বাজারঘাটা থেকে বাংলা মদ ও পেয়ারা কিনেন। সেখান থেকে চলে যান হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনে। সেখানে সময় কাটানোর পর এক শ টাকা দিয়ে আশরাফুলকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর আবারও হোটেল সানমুনে আশরাফুলকে ডেকে নেন সাইফ উদ্দিন। সেখানে আবারও ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন সাইফ উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফ উদ্দিনের হাত বেঁধে ফেলেন এবং ছুরিকাঘাত ও রগ কেটে হত্যা করেন আশরাফুল।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভুক্তভোগী ও ঘাতক পূর্বের পরিচিত। সে সুবাধে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু যখন সম্পর্কটি মোবাইলে ধারণ করে, তখন আশরাফুল ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। মদ খাওনোর পর চাদর দিয়ে মুখ চাপা দেয়, বেল্ট দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তারপর ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সে ভিডিও ধারণকৃত মোবাইলটা আলামত নষ্টের জন্য ভেঙে ফেলেন।’
তিনি আরও বলেন, ভেঙে ফেলা মোবাইল, ব্যবহৃত ছুরি, ভিকটিমের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। এটি প্রাথমিক স্থর। পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে।
এর আগে গেল সোমবার সকাল ১০টার দিকে শহরের হলিডের মোড়ে ‘সানমুন’ আবাসিক হোটেলের ২০৮নং কক্ষে সাইফ উদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত সাইফ উদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি শহরের ঘোনার পাড়া এলাকায়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমের প্রকাশ পর থেকে চারদিকে হইচই পড়ে যায়। প্রকাশ্যে আসে আশরাফুলের পরিচয়।
আজকের সারাদেশ/২২আগস্ট/এএইচ