সকাল ৬:৩৪, সোমবার, ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব: নানক

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই জিয়া ছিলেন না, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়া সৃষ্টি হয়। তার চেয়ে বড় কথা বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২১ আগস্টের হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২১শে আগস্টের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক জিয়া। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য। সেদিন শেখ হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে অমানবিকভাবে গুলি চালানো হয়।’

তারেক রহমান দেশে অস্ত্র ঢুকিয়েছে উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘সম্প্রতি ছয় জন ছাত্রদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল ও অচল অবস্থা সৃষ্টির জন্য তারেক রহমান দেশের ভেতরে অস্ত্র ঢুকিয়েছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে করে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়।’

গ্রেনেড হামলার যেন বিচার না হয় এ জন্য হামলাকারীরা আলামতও নষ্ট করেছিল দাবি করে নানক বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়িত্বপালনকারী মাওলানা তাজউদ্দিনকে রাতের বেলা পাসপোর্ট করে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে পাকিস্তানে সরিয়ে দিয়েছেন। তৎকালীন বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় মদদে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। তারেক রহমানের বক্তব্য হয়ে গেছে, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র ব্যক্তি মুজিব হত্যা নয়। খুনি জিয়া গংদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতির যে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তা আরও দৃঢ় করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ একমাত্র তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব। এ কারণেই খুনি জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির দিশারীতে আঘাত হানতে চায়, সংবিধানকে ভঙ্গুর করে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে চায়। আর এজন্য তরুণ সমাজকে সচেতন থাকতে হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী।

এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের সারাদেশ/২৪আগস্ট/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলের নেতৃত্বে ৩৫ মামলার আমামি

সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন আজীবন চিকিৎসা ভাতা

বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত