বিকাল ৩:৪৮, রবিবার, ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়ালসড়ক মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণের প্রস্তাব

হাবিব আরাফাত, চট্টগ্রাম
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়াল সড়কের নাম চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ৪৫৮ তম বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিতে ‘সিডিএ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার’ নামে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়।

সিডিএর বোর্ড সভায় গ্রহণের পর অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবনাটি ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, ‘সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো অনুমোদনের জন্য। সেখান থেকে সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম ‘সিডিএ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার’ নামে নামকরণ করা হবে।

বন্দর নগরীর বন্দরনগরীর যানজট কমানো ও নগরীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজের লক্ষে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের এই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। শুরুতে প্রকল্পটির ব্যয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে নানা জটিলতায় ব্যয় বৃদ্ধি করে তা ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা করা হয়। শুরুতে প্রকল্পটির কাজ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফায় দুবছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাঠামোর ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পুরো প্রকল্পে ১৫ টি র্যা ম্প রয়েছে। র্যা ম্পের কাজ এখনো হয়নি। মূল এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ ৮০ শাতংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটা শতভাগ শেষ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

তবে নতুন নির্ধারিত সময় ২০২৪ সালের জুনের পরেও র্যা ম্প নির্মোণের কিছু কাজ বাকী থাকতে পারে বলে ধারণা তার।

চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯৪ সাল থেকে টানা ১৭ বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে মৃত্যুর সময় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে পাগলে বেশে জেল থেকে মুক্তি পান। পরে ভারত পালিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ‘মুজিব বাহিন ‘ গঠনের মাধ্যমে হত্যাকণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেসময় তাকে চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলার আসামি করা হলে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় পালিয়ে যান।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৯১ আঘাত হানা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে বেশ আলোচিত হন তিনি।

আজকের সারাদেশ/২৪আগস্ট/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

সাড়ে ১৬ হাজার ‘গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার করা হবে: আসিফ নজরুল

চবিতে স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার দায়িত্বে সাকিল-জিসান

কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে শহীদ তানভীর হত্যা মামলার আসামিরা

চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলের নেতৃত্বে ৩৫ মামলার আমামি

সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন আজীবন চিকিৎসা ভাতা

বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’