আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
বদলির আদেশ পাওয়ার পর অনুদানের টাকায় কেনা থানার শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফাসেট নিজের দাবি করে খুলে নিয়ে গেছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকরা বলছেন, ওসিকে ব্যক্তিগতভাবে তারা জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেননি। থানায় স্থায়ীভাবে জিনিসগুলো কেনার জন্য বালু মহালের টাকা দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে থানার এই জিনিসপত্র খুলে ভ্যানে করে নিজের কোয়াটারে নেন পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের সই করা আদেশে জেলার চার থানার ওসিকে বদলি করা হয়। এরমধ্যে ভূঞাপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বদলির আদেশ পাওয়া অন্য ওসিরা হলেন- মধুপুর থানার ওসি মাজাহারুল আমীন, গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম।
বদলির আদেশ পেয়েই জিনিসপত্র খুলতে শুরু করেন ফরিদুল। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জুরান মন্ডল বলেন, “থানার শোভা বাড়াতে ও থানার ওসির ব্যবহারের জন্য বালু মহালের টাকায় জিনিসপত্রগুলো উপহার দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দেওয়া হয়নি। শুনেছি ওসি ফরিদুল জিনিসপত্রগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক না।”
জিনিসপত্র খুলে নেওয়ার বিষয়ে ওসি ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকায় কেনা। এগুলো আমি নিতেই পারি।”
ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, “ওসির নিজের টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলে নিতে পারেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।”
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি। কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন।”
চার ওসিকে একসঙ্গে বদলির বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন বলেন, “প্রায় ২ থেকে আড়াই বছর কর্মস্থলে থাকা ৪ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। এটি নিয়মমাফিক বদলি।”
আজকের সারাদেশ/২৬আগস্ট/এএইচ