আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
অনেকেই নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতির কথা বললেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের শপথ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘অনেকে নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতির কথা বলে, কিন্তু এটা আমাদের শপথ যে, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তাদের ওপর কেন ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা আসবে না?’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শনিবার (০২ সেপ্টম্বর) পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন-পরবর্তী সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিয়েরা লিওনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এসেছে, এ নিয়েও বিএনপিতে উল্লাস। আমি বলি- সিয়েরা লিওন যা করল, সেটা তো তোমরাই করেছো। মাগুরা মার্কা নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তোমরাই করেছো।’
বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তাদের ওপর কেন ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা আসবে না? আমরা তো অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এখানে বিদেশি বন্ধুরা আছেন, আমরা কথা দিতে চাই- অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা করব। এটাই আমাদের শপথ। আমাদের সিয়েরা লিওনের কথা বলে লাভ নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চোর ও লুটেরা। চোরকে বাংলাদেশের মানুষ মানে? না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো শেখ হাসিনা। তোমাদের (বিএনপির) প্রধানমন্ত্রী কে? বাংলার মানুষ তো চোরা তারেককে মানেনি, মানবেও না। এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। সামনে লড়াই, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। জিততে হবে। জিততে পারবেন। কারণ, ওদের হাতে শোকের পতাকা। আমাদের হাতে শেখ হাসিনার বিজয়ের পতাকা। আমরা বিজয়ের সোনালি বন্দরে পৌঁছে যাব।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে হঠাতে হবে। কোন দুঃখে? কেন পদত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা? কোনো দেশের নির্বাচনী নীতিতে এটা আছে? শেখ হাসিনা দিয়েছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, একদিনে শত সেতু, একদিনে শত সড়ক।
‘অপেক্ষা করুন, আরও দেড়শ’ সেতু আসছে। একদিনে উদ্বোধন হবে। তোমরা (বিএনপি) কী দিয়েছ? ঘোড়ার ডিম! ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখ। আন্দোলন তো নাই।’
এসময় ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। এ দুটি বিষয় বাঙালি কখনোই ভুলবে না। তারা অমর থাকবেন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে রুট নিয়ে কত সমস্যা! সেখানে শেখ হাসিনা এ সমস্যারও সমাধান করে দিয়েছেন। এই উড়াল সড়ক, মেট্রোরেলের রুট, সবই তার দেখানো ডিজাইনে করা।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কত লোক! লোকে লোকারণ্য। পথে পথে মানুষ আর মানুষ। কত যে মানুষ! বাইরে কয়েকটা সমুদ্র। এখানে হয়ে গেছে মহাসমুদ্র। জনতার মহাসমুদ্র থেকে আমি গর্জন শুনতে পাই।’
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন।
আজকের সারাদেশ/০২ সেপ্টেম্বর/এএইচ