সকাল ৯:০৯, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাটল ট্রেনে আহত ৩ শিক্ষার্থী আইসিইউতে, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত ৯ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শাটল ট্রেনে গাছের ধাক্কায় ছাদে থাকা ২০ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় উত্তাল চবি। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বগি বৃদ্ধির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে ও ভাঙচুর করে বিক্ষোভ করছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলন্ত শাটল থেকে পড়ে গুরুতর আহতদের চলছে চিকিৎসা।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের। এদের মধ্যে রয়েছে তাইজুল ইসলাম, আবু সাইদ, মোহাম্মদ সান, রাফসান ও আসলামসহ ৬ জন। ওয়ার্ড বেড না থাকায় মেঝেতে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়। তারা হলেন, আমজাদ হোসেন সোহাগ, খলিলুর রহমান ও অংসইনু মারমা। এ ছাড়া বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও বেশ কয়েকজন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান বলেন, ‘শাটল ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল কিছুটা কাত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলেও ছাদে থাকা তিন শিক্ষার্থী আহত হন। বারবার এসব দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসবের দায় এড়াতে পারে না।’

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পথে চৌধুরী হাটে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত হয় ১৫ জনের বেশি। পরে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে। ভাঙচুর করে পুলিশ বক্স, ভিসির বাসভবন ও যানবাহন।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। তিনি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসায় যেন কোনো ত্রুটি না হয়, এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহর থেকে রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে করে ক্যাম্পাসে আসার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ১৫-২০ জনের মতো আহত হয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি শাটল ট্রেন প্রতিদিন মোট ১৪ বার চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করে। প্রতিটি শাটল ট্রেনে দশটি করে বগি আছে। তবে শিক্ষার্থীর তুলনায় বগি কম হওয়ায় ট্রেনের ছাদে করে আসা- যাওয়া করেন অনেক শিক্ষার্থী।

আজকের সারাদেশ/ ৯ সেপ্টেম্বর / এনদি

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি