দুপুর ১:৫০, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানেল উদ্বোধনের দিনটি আনন্দ-উল্লাসে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহু প্রতীক্ষার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধনের দিনটি আনন্দ-উল্লাসে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন। টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এখানে জনসভায় বক্তব্য দেবেন। আমরা আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করতে চাই, যেন সারা বাংলাদেশের মানুষ এটি নিয়ে গর্ব করে। তিন দশমিক তিন এক কিলোমিটারের এই টানেল, মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিটের গাড়ি পার হওয়া যাবে। নদীর ১৮ থেকে ৩১ মিটার তলদেশ দিয়ে গাড়ি চলে যাবে, আমরা দিনটির অপেক্ষায় আছি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে, তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে টানেল পাড়ি দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে গিয়ে আবার ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যে টানেল যাচ্ছে, সেটি দেখার জন্য এসেছি। এটি সরকারের একটি সিগনেচার প্রজেক্ট। আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা দিনরাত পরিশ্রম করে তাদের অসাধারণ কর্মনৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় সাফল্য, অনেক বড় গর্ব। এই টানেল শুধু দু’পাড়কেই সংযুক্ত করবে না, ওয়ান সিটি টু টাউনও বাস্তবায়ন হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমরা একে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। এছাড়া দু’পাড়ে অবকাঠামোগত যে বিশাল উন্নয়ন হয়েছে এবং আগামীতেও হবে এটা আমরা ধরে রাখতে চাই।

টানেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে দুটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের কাজ হয়ে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশও টানেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিডিএ একটি প্রকল্প নিয়েছে। শিগগিরই সেটার কাজ শুরু হবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার, সবটুকুই আমরা করব।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, টানেল শতভাগ ব্যবহার উপযোগী হয়ে গেছে। এরমধ্যেই আমরা টেস্ট করেছি। আগামী ২৩ তারিখ এখানে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের সমন্বয়ের ইমার্জেন্সি মুডে ট্রায়াল করব। জলোচ্ছ্বাসে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটো ফ্লাডগেট আছে, ট্রায়াল করে দেখা হয়েছে। বিগত সময়ের জলোচ্ছ্বাসের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভূমিকম্পেও টানেল নিরাপদ থাকবে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, মাটির ২০ মিটার নিচে ভূকম্পন অনুভূত হয় না। টানেল আরও নিচে। ফলে ভূমিকম্পে টানেলের ওপর প্রভাব পড়বে না।

পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন।

আজকের সারাদেশ/এসএম

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি