আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
আওয়ামী লীগ ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশের আসন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তাতে জড়িতদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শুক্রবারের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনে বাধা দিতে চায় এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।’
‘ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।’
আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না বলে দলটির নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছেন।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশকে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।
অক্টোবরে বিএনপির আন্দোলনের মরণকামড়ের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মরণকামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।’
আজকের সারাদেশ/২৩সেপ্টেম্বর/এএইচ