আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ছেলে, দুই বোন আর তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল কুষ্টিয়া থেকে বেড়াতে আসছিলেন বান্দরবানে। বহুদিন পর ঘুরতে যাচ্ছেন, স্বাভাবিকভাবেই সবার মুখেই উপচে পড়ছিল খুশির ঢেউ। নানা স্বপ্নও হয়তো খেলে যাচ্ছিল সবার মনে। কিন্তু কে জানত-তাদের জন্য অপেক্ষা করছে দুঃস্বপ্ন।
তাঁদের বহনকারী হাইচ গাড়িটি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পৌঁছার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। পরে সেটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেটকার। আর এতেই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন জাহিদ ইকবাল। প্রাণে বাঁচলেও ব্যাথায় হাসপাতালে ছটফট করছেন বোন আর ভাগনেরা। জাহিদের ছেলে তাহসিন তেমন আঘাত পায়নি।
নিহত জাহিদ ইকবাল রাণীসংকৈল থানা থেকে বদলি হয়ে সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী রেশমা-ও পুলিশ পরিদর্শক। তবে এই সফরে তিনি ও তাঁর মেয়ে ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এলাকায় কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার শিকার হাইচ গাড়িটি সড়কে পড়ে থাকলে পেছন থেকে আরেকটি প্রাইভেটকার সেটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে হাইচটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলে জাহিদ নিহত হন। আর হাইচে থাকা জাহিদের ছেলে, দুই বোন ও দুই ভাগনের পাশাপাশি প্রাইভেটকারে থাকা দুজনও এতে আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট (এসআই) ছিলেন।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যের মরদেহ কুমিরা হাইওয়ে থানায় আছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আজকের সারাদেশ/একে